বাগমারায় কাদিয়ানী মসজিদে ‘আত্মঘাতি’ বোমা হামলায় নিহত ১, আহত ৩০

0001নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার মচমইল সৈয়দপুর গ্রামে কাদিয়ানী মসজিদে বোমা হামলায় হামলাকারী নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন তিন জন।  শুক্রবার দুপুরে সৈয়দপুর মচমইল চকপড়া আদামদিয়া সম্প্রদায়ের ওই মসজিদে জুম্মার নামাজের দ্বিতীয় রাকাতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। অজ্ঞাতনামা নিহত ব্যক্তি আত্মঘাতি হামলাকারী ছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এ সময় মসজিদে কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের প্রায় ৪০/৪৫ জন জুম্মার নামাজ আদায় করছিলেন। আহতদের মধ্যে ময়েজ উদ্দিন (৪০), সায়েব আলী ও নয়ন  (১২) কে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আমাদের বাগমারা প্রতিনিধি মসজিদের মোয়াজ্জিন আব্দুল আজিজ ও গোলাম মোস্তফার বরাত দিয়ে জানান, জুম্মার নামাজ শুরুর পর প্রথম রাকাত আদায় শেষ হয়। দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ফাহেতা পাঠের সময় বিকট শব্দে বোমা বিস্ফোরিত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই একজনকে ঢলে পড়তে দেখেন তারা। এ সময় সবাই ছুটাছুটি শুরু করলে হামলাকারীর সঙ্গে থাকা এক ব্যক্তি পালিয়ে যায়।
তারা আরো বলেন, নিহত ব্যক্তিই আত্মঘাতি হামলাকারী ছিলো এবং ওরা দু’জন হামলার উদ্দেশ্যেই মসজিদে প্রবেশ করেছিলো। ২০১০ সালে সৈয়দপুর মচমইল চকপড়া মসজিদ প্রতিষ্ঠার পর আবদুল আজিজ মোয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালন করছেন। নিহত ব্যক্তি ও তার সঙ্গীকে আগে কখনও তারা এ মসজিদে দেখেননি। এদিকে ঘটনার পর পর এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এবং র‌্যাব ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং আহতদের রামেক হাসপাতালে প্রেরণ করে।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার রহমান মানবজমিনকে বলেন, ‘তদন্তের আগে এটি আত্মঘাতি হামলা না কেউ হামলা করে পালিয়ে গেছে তা বলা সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে পুলিশ ও র‌্যাব মসজিদটিকে ঘিরে রেখেছে। তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর সমজিদে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এর আগে গত ২৬শে নভেম্বর সন্ধ্যায় বগুড়ার শিবগঞ্জে শিয়া সম্প্রদায়ের একটি মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের ওপর গুলি চালানো হলে মুয়াজ্জিন মোয়াজ্জেম হোসেন নিহত এবং ইমামসহ আরও তিনজন আহত হন। গত ২৩শে অক্টোবর পুরান ঢাকার হোসাইনী দালানে আশুরার তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতি নেয়ার সময় বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে মারা যান দুই জন। আহত হন শতাধিক ব্যক্তি।

Print Friendly, PDF & Email