• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষঃ চট্টগ্রামে বাড়ি বাড়ি ঢুকে ছাত্রলীগের তান্ডব

Ctgচট্টগ্রাম প্রতিনিধি: নগরীর পাঁচলাইশ থানার পূর্ব নাছিরাবাদ এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এসময় এলাকার বাসিন্দাদের বাসায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নির্বিচারে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়েছে। এতে ছাত্রলীগের তিন নেতা-কর্মীসহ ছয়জন আহত হয়েছেন।

সোমবার রাত পৌনে তিনটার দিকে পূর্ব নাছিরাবাদ শপিং কমপ্লেক্সের পেছনে এ ঘটনা ঘটেছে।পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করেছে। তবে তারা কেউই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী নন বলে জানা গেছে।

ঘটনাস্থলে যাওয়া পাঁচলাইশ থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) রীতেন কুমার সাহা জানান, পূর্ব নাছিরাবাদ শপিং কমপ্লেক্সের পেছনে মহল্লায় একটি অনুষ্ঠান উপলক্ষে গানবাজনা চলছিল। অনুষ্ঠান শুরুর আগে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

নাছিরাবাদ হাউজিং সোসাইটি এলাকার ১নম্বর সড়কে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রদের ছাত্রাবাস। ছাত্রাবাসের কিছু ছাত্রের সঙ্গে অনুষ্ঠানে উপস্থিত কয়েকজনের প্রথমে কথা-কাটাকাটি ও পরে বাকবিতন্ডা হয়।এরপর প্রথম বর্ষের ছাত্ররা ছাত্রলীগের নেতাদের খবর দেন।খবর পেয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সেখানে গেলে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। এতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদ হাসান, কলেজ ছাত্র সংসদের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আইনুল ইসলাম ও সদস্য মেহরাব আহত হন। নাহিদ ও আইনুল এমবিবিএস চতুর্থ বর্ষের এবং মেহরাব প্রথম বর্ষের ছাত্র। নাহিদের ঘাড়ে পা, হাত ও মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ লেগেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। তাকে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে রাখা হয়েছে। আর আইনুল ও মেহরাব ক্যাজুয়ালটি বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

পুলিশ জানায়, ছাত্রলীগ নেতা আহত হওয়ার খবর পেয়ে মেডিকেল কলেজের ছাত্রলীগের ২০-৩০ জন গিয়ে অনুষ্ঠান মঞ্চ ভাঙচুর করেন। পরে তারা হামলাকারীদের খুঁজতে বিভিন্ন ঘরে ঢুকতে চান।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত দুই প্লাটুন পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। কলেজের অধ্যক্ষ ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্রদের ছাত্রাবাসে ফিরে যেতে বলেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে রতন দাশ, অঞ্জলি দাশ এবং টিটু দাশের নবজাতক মেয়ে আহত হয়। জানালায় পাথর ছুঁড়লে কাচ ভেঙে নবজাতকটির শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে যায়। রতন ও অঞ্জলি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কমপক্ষে ১০টি ঘরে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email