• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

শিক্ষক আন্দোলনে অচল বিশ্ববিদ্যালয়, অনিশ্চয়তায় শিক্ষার্থীরা

Univsনিজস্ব প্রতিবেদক: অষ্টম বেতন স্কেলে সিলেকশন গ্রেড বহাল, গ্রেড সমস্যা নিরসন ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য পৃথক বেতন স্কেলের দাবিতে গত ছয় দিন ধরে কর্মবিরতি করছেন দেশের ৩৭টি সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। এখনো দাবি পূরণে সরকারের তরফ থেকে শিক্ষকেরা কোনো সাড়া পাননি। এতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অচল হয়ে পড়েছে।

বর্তমানে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ হাজারের কিছু বেশি শিক্ষক ও প্রায় দুই লাখ ৪০ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছেন। গত ১১ জানুয়ারি থেকে শিক্ষকেরা লাগাতার কর্মবিরতি পালন করছেন। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেশনজটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কবে শিক্ষকেদের আন্দোলন শেষ হবে, এমন কোনো নিশ্চয়তা না থাকায় এই আশঙ্কা প্রতিদিনই বাড়ছে।

শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গিয়ে দেখা গেছে, কলা ভবন, কার্জন হল ও সায়েন্স এনেক্স ভবনের বেশির ভাগ শ্রেণি কক্ষ বন্ধ। কয়েকটি বিভাগ খোলা থাকলেও সেখানে শিক্ষার্থী নেই বললেই চলে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সেমিনার লাইব্রেরি, অফিস কক্ষ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনগুলো খোলা আছে। কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি খোলা রয়েছে। এ ছাড়া পূর্বঘোষিত পরীক্ষাগুলোও চলছে। নতুন করে কোনো পরীক্ষার সূচি ঘোষণা করছেন না শিক্ষকেরা।

এদিকে হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হল ও মাস্টার দা সূর্যসেন হলের অনেক শিক্ষার্থী ক্লাস না হওয়ায় বাড়ি চলে গেছেন। আবার যাঁরা বাড়িতে গেছেন, তাঁরাও আপাতত ফিরছেন না।
অধ্যাপক ফরিদউদ্দিন আহমেদ আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, এখন পর্যন্ত তাঁদের দাবি-দাওয়া পূরণে কোনো অগ্রগতি নেই। এ কারণে তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

এ ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, তাঁরা চেষ্টা করছেন। তবে কিছু বিষয় আছে, সরকারের নীতি নির্ধারণের সিদ্ধান্তে বিষয়। অবশ্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, শিক্ষকদের মূল দাবি ২৫ শতাংশ অধ্যাপককে গ্রেড-১ করা এবং তাঁদের একটি গ্রহণযোগ্য অংশকে জ্যেষ্ঠ সচিবের সমান বেতন স্কেল দেওয়া। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় এখনো কোনো ইতিবাচক কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি। এতে তাঁদের পক্ষে কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না।

বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় বাদে বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেশনজট একেবারেই কমে গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজট প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। অবশ্য কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু সেশনজট আছে। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমনিতে বিভাগভেদে কমবেশি এক বছরের সেশনজট আছে। এখন শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে এক বছরের সঙ্গে আরও কয়েক মাসের সেশনজট হওয়ার আশঙ্কা করছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

Print Friendly, PDF & Email