‘পাঠ্যবইয়ে যুক্ত হতে যাচ্ছে নির্যাতনের হেল্পলাইন নম্বর’

Help-line-number-book-chumki-10.04.16নিজস্ব প্রতিবেদক: নারী ও শিশু নির্যাতনের তথ্য জানাতে ন্যাশনাল হেল্পলাইনের ১০৯২১ নম্বরটি আগামী বছর থেকে সকল শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের পেছনে যুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি

রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে রবিবার বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতির (এফপিএবি) শিশুশ্রম-বিষয়ক একটি গবেষণাপত্রের প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘যাতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা নারী ও শিশু নির্যাতনের বিষয়ে সচেতন হতে পারেন এবং সহায়তার জন্য যে কোনো টেলিফোন বা মোবাইল থেকে নির্যাতিতরা যোগাযোগ করতে পারবে।’

শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজে সম্পৃক্ত রেখে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে পারবে না মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শিশুশ্রম রোধে সরকারের পাশাপাশি বিত্তবান নাগরিকদের এগিয়ে আসতে হবে। পরিবারের সচেতনতাসহ সকলের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হলে দেশে সব ধরনের শিশু নির্যাতন বন্ধ হবে।’

‘শিশুর বেড়ে ওঠার পরিবেশ সুন্দর ও সাবলীল করতে বিভিন্ন স্থানে আচরণবিধি ঝুলিয়ে দিলেই হবে না।বরং মানবিক আচরণের চর্চা বাড়াতে হবে।’

আইনের যথার্থ বাস্তবায়ন না হওয়ায় অজ্ঞতার কারণে অনেক মালিক ও অভিভাবক শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজে সম্পৃক্ত করছে বলেও জানান চুমকি

‘ডেসিমিনেশন প্রোগ্রাম অন রিসার্চ ফাইন্ডিংস এনটাইটেলড চাইল্ড লেবার সিচুয়েশন ইন ইনফরমাল সেক্টরস অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পরিবার পরিকল্পনা সমিতির মহাসচিব মিজানুর রহমান খান লিটন ও নির্বাহী পরিচালক আ ফ ম মতিউর রহমান। দি নিলসেন কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনাম মাহমুদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থাপন করা গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ৭৯ ভাগ শিশু শ্রমিক প্রাথমিক শিক্ষা সম্পূর্ণ হবার আগেই ঝরে পড়ে। বিভিন্ন অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত শিশু শ্রমিকরা দৈনিক ১০ ঘণ্টার বেশি কাজ করে মাসে এক হাজার ৪০০ থেকে ৫ হাজার পর্যন্ত আয় করছে। শতকরা ৮০ ভাগ শিশু শ্রমিকের কর্মক্ষেত্রে কোনো ধরনের ওভার টাইমের সুযোগ নেই।

গবেষণায় আরও দেখা গেছে, ২২ ভাগ শিশু শ্রমিক বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত আছে। ৩৫ ভাগ শিশু শ্রমিকের জন্য কর্মস্থলে কোনো ধরনের খাবার ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা নেই।

Print Friendly, PDF & Email