• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

পৌর নির্বাচনে ভোট গ্রহণ ও গণনা প্রক্রিয়া বিশ্বাসযোগ্য ছিল না: সুজন

0001নিজস্ব প্রতিবেদক: পৌর নির্বাচনে ভোট গ্রহণ ও গণনা প্রক্রিয়া বিশ্বাসযোগ্য ছিল না: সুজন বলে জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।

বাংলাদেশে রাজনীতি ক্রমশই ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে বলে ব্যাপক আলোচনার মধ্যেই এমন তথ্য জানা গেল।
সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়নে ‘পৌরসভা নির্বাচন: কেমন মেয়র পেলাম’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় সংগঠনটি।
গত ৩০ ডিসেম্বর প্রথম বারের মত দলীয় প্রতীকে সারাদেশের ২৩৪টি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে সংবাদ সম্মেলনে ২৩৩ জন নবনির্বাচিত মেয়রের তথ্য বিশ্লেষণ করে সুজন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নবনির্বাচিত ২৩৩ জন মেয়রের মধ্যে ১৮৫ জন (৭৯.৪৮%) ব্যবসায়ী।

এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ১৮১ জনের মধ্যে ব্যবসায়ী ১৪৩ জন (৭৯.০১%); বিএনপির ২৪ জনের মধ্যে ব্যবসায়ী ১৯ জন্য (৭৯.১৭%) ব্যবসায়ী এবং স্বতন্ত্র ২৭ জনের মধ্যে ২৩ জন (৮৫.১৯%) ব্যবসায়ী। জাতীয় পার্টির নির্বাচিত মেয়র পেশার কথা উল্লেখ করেননি।

সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে এক জায়গায় মিল রয়েছে, তা হলো তারা দেশের বড় বড় ব্যবসায়ীদের দেখে নির্বাচনে প্রার্থী দেয়। আর এর ফলে ব্যবসায়ী বেশি নির্বাচিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, কোনো রকম গবেষণা ও জনমত যাচাই ছাড়াই পৌর নির্বাচন দলীয়ভাবে করা হয়েছে। এতে করে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা আরো দুর্বল হয়েছে।

দলীয়ভাবে পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুসংগঠিত হচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সুজন সভাপতি হাফিজউদ্দিন আহমেদ, কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার প্রমুখ।

গত এপ্রিলে এক প্রতিবেদনে সুজন জানিয়েছিল, বর্তমান সংসদে ব্যবসায়ী রয়েছেন ১৭৫ জন, আইনজীবী ৫১ জন এবং আয়করহীন এমপি রয়েছেন ৪২ জন। ব্যবসায়ী এমপিদের মধ্যে আওয়ামী লীগের ১৪২ জন, জাতীয় পার্টির ১৮, ওয়ার্কার্স পার্টির ১, জাসদের ৩ এবং স্বতন্ত্র ১১ জন।

Print Friendly, PDF & Email