• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪

ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে বন্দুকযুদ্ধ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা

00001ইবি প্রতিনিধিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফের ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ চলাকালে উভয়পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়। এতে উভয় গ্রুপের ১২ জন কর্মী আহত হয়। সংঘর্ষের পর জরুরি সিন্ডিকেটে শনিবার বিকাল ৫টা থেকে আবাসিক হলসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে, বৃহস্পতিবার সংঘর্ষের পর আবারো সংঘর্ষের আশংকায় শনিবার সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ করা হয়। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বেলা ১০টা থেকে ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগ ও নিজ এলাকার ক্যাডারদের নিয়ে ছাত্রলীগের টেন্টে অবস্থান নেয় সভাপতি গ্রুপের নেতাকর্মীরা। অপরদিকে বহিরাগত সন্ত্রাসী, চাকরি প্রত্যাশী ও স্থানীয় ঠিকাদাররা সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান মিজুর গ্রুপের সঙ্গে ক্যাম্পাসের মিডিয়া চত্বরে মুখোমুখি অবস্থান নেয়। তাদের সঙ্গে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও ঠিকাদার শামসুজ্জামান তুহিন, ঠিকাদার বিকাশ, চিহ্নিত সন্ত্রাসী তোতা, বশির, আশিকুর রহমান জাপান, তৌফিকুর রহমান হিটলার, টিটুসহ বহিরাগতরা সহ-সভাপতি গ্রুপের পক্ষে যোগ দেয়।
বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সহ-সভাপতি গ্রুপের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিল থেকে তারা ভিসি প্রফেসর ড. আবদুল হাকিম সরকার ও ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক স্লোগান দিতে থাকে। এসময় ছাত্রলীগের টেন্টে অবস্থানরত সভাপতির নেতাকর্মীরাও বিক্ষোভ শুরু করে। এসময় বিক্ষুব্ধরা একে অপরকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পরে তাদের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এসময় উভয় গ্রুপের মধ্যে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিবিনিময় হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ সভাপতির নেতাকর্মীদের ওপর দুই রাউন্ড গুলি ছুড়ে। এতে মিজু গ্রুপের কর্মীরা সভাপতি গ্রুপের নেতাকর্মীদেরকে ধাওয়া করে। এতে সাইফুল তার কর্মীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু হল এলাকায় গিয়ে আশ্রয় নেয়।

ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা টেন্টে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছিলাম। পুলিশ, ঠিকাদার, সন্ত্রাসী ও বহিরাগতরা আমাদের ওপর গুলি চালিয়েছে। আমরা তাদের প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছি এবং কৌশলগত কারণে পিছু হটে গিয়েছি। সংঘর্ষের পেছনে সংঘবদ্ধ একটি চক্র পরিকল্পিত ভাবে কাজ করেছে।’
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি গ্রুপের জুয়েল রানা হালিম বলেন, ‘সাইফুলের কর্মীরা আমাদের লক্ষ্য করে গুলি করে। আমার কর্মীরা বাধ্য হয়ে তাদের ধাওয়া দিয়ে আবাসিক এলাকায় পাঠিয়ে দেয়।’
ইবি থানার ওসি সফিকুল ইসলাম সফিক বলেন, ‘আমরা দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। কোনো পক্ষকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়নি। বর্তমানে ক্যাম্পাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’
হল বন্ধের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কাউন্সিল সভাপতি প্রফেসর ড. ইকবাল হোসাইন বলেন, ‘শনিবার বিকাল ৫টা থেকে হল বন্ধ থাকবে। আগামী ৫ই জানুয়ারি শীতকালীন ছুটি শেষে আবার যথারীতি আবাসিক হলসমূহ চালু হবে।’

Print Friendly, PDF & Email