যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন হিলারিই

01আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রে ‘সুপার টিউসডে’-তে অনুষ্ঠিত প্রাইমারির ফলাফল একটি বিষয় মোটামুটি নিশ্চিত করেছে। নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প আর হিলারি ক্লিনটন মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন।
সুপার টিউসডের ফলাফলের পর গণমাধ্যমের শিরোনামে ক্লিনটনের নাম বড় করে আসা উচিত ছিল, কারণ তিনিই হতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ২৪০ বছরের ইতিহাসে সম্ভাব্য প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। কিন্তু তা না হয়ে গণমাধ্যমে বিলিওনেয়ার ট্রাম্পকে নিয়েই বেশি আলোচনা হচ্ছে।

বিভিন্ন বিষয়ে কট্টরপন্থী ও পক্ষপাতমূলক বক্তব্যের জন্য তিনি আলোচিত এবং এ ধরণের বক্তব্য দিয়েই ট্রাম্প অ্যামেরিকার নিম্নমধ্যবিত্ত শ্বেতাঙ্গ ও শ্রমিক শ্রেণির মানুষের মন জয় করেছেন।
এভাবে ট্রাম্প এতদূর পর্যন্ত এসেছেন এবং ভবিষ্যতে রিপাবলিকান অন্য কোনো নেতা তাকে হারাতে পারবেন সেই সম্ভাবনাও কমে আসছে।

এখন থেকে যেহেতু ট্রাম্পের উপর আলোকপাত আগের চেয়ে আরেকটু বেশি হবে, তাই তিনি প্রেসিডেন্ট হলে আসলে কী কী করতে চান সেটি আরেকটু নির্দিষ্ট করে বলতে হবে।
কারণ জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং নারীদের নিয়ে পক্ষপাতমূলক বক্তব্য দিয়ে তিনি বেশিদূর এগোতে পারবেন না।

নভেম্বরের নির্বাচনে জিততে হলে তাকে পরিবর্তিত হতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের মতো গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচনে জেতার মূল হাতিয়ার রাজনীতি। অথচ ট্রাম্প রিপাবলিকান কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছ থেকে এখনও অনেক দূরে অবস্থান করছেন।

ট্রাম্প যদি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দিকে নিজেকে না নিয়ে যান তাহলে তিনি হিলারি ক্লিনটনের যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথ সহজ করে দেবেন। অবশ্য এক্ষেত্রে ক্লিনটনকে যে-কোনো ধরণের কেলেংকারি থেকে মুক্ত থাকতে হবে এবং সাধারণ নাগরিকদের বোঝাতে সক্ষম হতে হবে যে, তিনি ওয়াশিংটনের অন্য সব মিলিওনেয়ার রাজনীতিবিদের মতো নন।
অনেকে মনে করেন, ক্লিনটন বেশ নির্লিপ্ত স্বভাবের এবং সাধারণ মানুষের সমস্যা বোঝার ক্ষমতা তার নেই। ক্লিনটনকে এই ধারণা ভুল প্রমাণ করতে হবে।

সূত্র: ডয়চে ভেলে

Print Friendly, PDF & Email