• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

দশ কোটি লোক দেখলেন প্রথম বাকযুদ্ধ : জয়ী হিলারি

file-6নিউজ ডেস্ক:  মার্কিন নির্বাচনে প্রথম পর্বের বিতর্ক শেষ হয়েছে। অংশ নিয়েছিলেন ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী হিলারি ও রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প। সিএনএন জরিপে জয়ী হয়েছেন হিলারি । বিতর্কে উঠে এসেছে চাকরি, সন্ত্রাসবাদ এবং বর্ণবাদ প্রসঙ্গগুলো শক্তভাবে। প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্য নয় বলে উভয় প্রার্থীই বিতর্কে একে অপরকে আঘাত করেন।

বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকাল সাতটায় হিলারি ক্লিনটন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে প্রথম বিতর্ক শরু হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড়ে এই দুই প্রার্থীর মধ্যে আরও দুটিসহ মোট তিনটি বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। এবারের বিতর্কে মডারেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এনবিসি টিভির অ্যাংকর লেস্টর হল্ট।

মার্কিন গণমাধ্যমগুলোতে বলা হয়, প্রতিটি বিতর্ক হবে ৯০ মিনিট করে। এই দুই প্রার্থী অসংখ্য বিতর্ক ও নির্বাচনী সভায় অংশ নিয়েছেন, পত্রিকা-টিভিতে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। তবে এই বিতর্কের গুরুত্ব একটু আলাদা। এছাড়া ইতোমধ্যে প্রায় দেড় বছর কাটিয়েছেন তারা নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণে।

৯০ মিনিট সময়কে প্রায় ১৫ মিনিট করে ছয়টি ভাগে ভাগ করা হয়েছিল। প্রতিটি প্রশ্নের জন্য তারা দুই মিনিট করে সময় পেয়েছিলেন।

বিবিসির খবরে বলা হয়, ১৯৮০ সালে কার্টার ও রিগানের পর মার্কিন টেলিভিশনের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দেখা বিতর্ক ছিল ট্রাম্ট-হিলারির বিতর্কটি। প্রায় ১০ কোটি মানুষ দেখেছেন সেটি।

ট্রাম্প এক পর্যায়ে বলেন, প্রেসিডেন্ট হওয়ার মতো নন হিলারি ক্লিনটন। কেননা হিলারির সেরকম দৃঢ় মনোবল নেই।

ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের কড়া জবাব দিয়ে হিলারি বলেন, আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন ১১২টি দেশে ভ্রমণ করেছি, শান্তি চুক্তি নিয়ে কাজ করেছি, এমনও হয়েছে যে আমি টানা ১১ ঘণ্টা কংগ্রেসের বৈঠকে অংশ নিয়েছি। আমার মনোবল সম্পর্কে তার সংশয় কি করে আসে? এ বিষয়ে তিনি আমার সঙ্গে কথা বলতে পারেন।

হিলারির এমন জবাবে ট্রাম্প ফের বলেন, হিলারির অভিজ্ঞতা রয়েছে। তবে সেগুলো খুবই বাজে অভিজ্ঞতা।

হিলারি ট্রাম্পকে উদ্দেশ করে বলেন, তিনি নারীদের শূকর, কুকুর এবং বোকা বলে ডাকেন। যেখানে প্রতিটি দেশে সদ্য সন্তান জন্মদানকারী মাকে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ দেওয়া হয়। সেখানে তার ধারণা, নারীরা গর্ভবতী হলে তা নিয়োগ কর্তাদের জন্য বেশ অসুবিধার। তার মানে এমন একজন ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট হলে গর্ভবতী নারীদের চরম বিপদে পড়তে হবে।

তবে ট্রাম্প তার বিরুদ্ধে বলা হিলারির এসব মন্তব্য অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, আমি এ ধরনের কোনো কিছুই বলিনি। আমি শুধু হিলারি এবং তার পরিবারের বিপক্ষে কিছু কঠিন কথা বলেছি।

বিতর্কে ব্যক্তিগত ইমেইল ব্যবহারের বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করে হিলারি জানান, সেটি তিনি ভুল করেছেন।

নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় অর্ধেক ভোটার সিদ্ধান্ত নেবেন দুই প্রার্থীর মধ্যে বিতর্কের ফলাফলের ওপর। তিন পর্বের বিতর্ক শেষেই সিদ্ধান্ত নেবেন তারা।

 

Print Friendly, PDF & Email