• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

এসআই মাসুদের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণের নির্দেশ হাইকোর্টের

001নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা গোলাম রাব্বীকে আটক ও নির্যাতনের ঘটনা কেন অবৈধ নয় জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রাব্বীর লিখিত অভিযোগ এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সোমবার বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের বেঞ্চে এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেয়।

রবিবার নির্যাতনের ঘটনায় তিন কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদনটি করেন ঘটনার দিন রাব্বীকে উদ্ধারকারী তার বন্ধু সাংবাদিক জাহিদ হাসান এবং দুই আইনজীবী ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান ও এস এম জুলফিকার আলী জুনু।

রিট আবেদনে গোলাম রাব্বীকে নির্যাতন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, রাব্বীর অভিযোগ এজাহার হিসেবে নেওয়া এবং এসআই মাসুদ সিকদারকে কেন গ্রেফতার করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে।

একইসঙ্গে অতিরিক্ত জেলা জজের নিচে নয় এমন সমমানের একজন বিচারককে দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে তাও জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে।

এছাড়াও রাব্বীকে নিরাপত্তা দেওয়া এবং ক্ষতিপূরণ হিসেবে তিন কোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে।

রিটে বিবাদী করা হয়েছে— স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার, তেজগাঁও জোনের উপ-কমিশনার, মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, মোহাম্মদপুর থানার এসআই মাসুদ সিকদার ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

গত ৯ জানুয়ারি রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক গোলাম রাব্বীকে আটক করেন মোহাম্মদপুর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ শিকদারসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য। ইয়াবা ব্যবসায়ী-সেবনকারী বানানোর ভয় দেখিয়ে পাঁচ লাখ টাকা আদায়ের চেষ্টা করেন তারা। এরপর রাত ৩টা পর্যন্ত তাকে নিয়ে মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরে বেড়ান এবং মারধর করেন। এমনকি তাকে বেড়িবাঁধে নিয়ে ক্রসফায়ারে হত্যার হুমকিও দেন।

পরদিন সকালে এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন রাব্বী। তবে নির্যাতনের ঘটনার সাতদিন পার হলেও সেটি এখনও মামলা হিসেবে রুজু করেনি থানা।

ব্যাংক কর্মকর্তা রাব্বীকে এসআই মাসুদের নির্যাতন এবং যাত্রাবাড়ীতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পরিদর্শককে ওই থানা পুলিশের মারধরের ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত ডিআইজি ব্যারিস্টার হারুন অর-রশিদকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুলিশ সদর দপ্তর।

গোলাম রাব্বীকে নির্যাতনের ঘটনা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এসআই মাসুদকে শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এর আগে ১১ জানুয়ারি সকালে তাকে মোহাম্মদপুর থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়।

মোহাম্মদপুর থানার ওসি জামাল উদ্দিন মীর এর আগে জানান, রাব্বীর ঘটনা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত চলছে। ওপরের অনুমতি পেলে রাব্বীর দেওয়া অভিযোগটি মামলা হিসেবে রুজু করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email