মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে তাহের-ননীর মৃত্যুদণ্ড

01নিজস্ব প্রতিবেদক: মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নেত্রকোণার ওবায়দুল হক তাহের ও তার সহযোগী আতাউর রহমান ননীর মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা করেন চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার-উল হকের নেতৃত্বে বিচারিক প্যানেলের সদস্য বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল।

তাদের বিরুদ্ধে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, দেশান্তরিতকরণ, বাড়িঘরে আগুন ও লুটপাটের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের মধ্যে চারটি প্রমাণিত হওয়ায় সর্বোচ্চ এ সাজা দেওয়া হয়েছে।

সরকার ইচ্ছা করলে তাহের-ননীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে অথবা গুলি করে (ফায়ারিং স্কোয়াড) হত্যার মধ্য দিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করতে পারে। মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এ দুই প্রক্রিয়ার যেকোনো একটি অবলম্বন করা সরকারের ইচ্ছাধীনও করা হয়েছে রায়ে।

এর আগে সকাল দশটা ৩৬ মিনিট থেকে রায় দেওয়া শুরু করেন ট্রাইব্যুনাল। বেলা এগারটা থেকে রায়ের দ্বিতীয় অংশ পড়েন বিচারিক প্যানেলের সদস্য বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম এবং রায়ের প্রথম অংশ পড়েন অন্য সদস্য বিচারপতি মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী।

সকাল দশটার পরে তাহের ও ননীকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে এনে ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় এনে রাখা হয়। সাড়ে দশটার দিকে হাজতখানা থেকে তাদেরকে তোলা হয় ট্রাইব্যুনালের আসামির কাঠগড়ায়। ২৬৮ পৃষ্ঠার রায়ের দ্বিতীয় অংশে চারটি অভিযোগ প্রমাণিত ও একটি প্রমাণিত না হওয়ার কথা জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

গত ১০ জানুয়ারি বিচারিক কার্যক্রম শেষ হওয়ায় মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রাখেন ট্রাইব্যুনাল।
গত বছরের ৫ এপ্রিল প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তাহের-ননীর বিরুদ্ধে বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেন ট্রাইব্যুনাল।

এর আগে ২ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর পরই ২০১৪ সালের ১২ আগস্ট নেত্রকোনা পৌর শহর থেকে তাহের ও ননীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

Print Friendly, PDF & Email