এবি পার্টির ইফতারে রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক ও নাগরিক সমাজের সম্মেলন
মাহফুজ আনামকে হয়রানি না করার আহবান ৩৫ বিশিষ্ট নাগরিকের
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার এর সম্পাদক মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলায় ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন দেশের ৩৫ জন বিশিষ্ট নাগরিক। বাক-স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও জনস্বার্থে মাহফুজ আনামকে হয়রানি না করার আহবান জানিয়েছেন তারা। আজ ড. বদিউল আলম মজুমদার ও ড. শাহদীন মালিকের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তারা এ আহবান জানান। এতে বলা হয়, আমরা গভীর উদ্বেগ ও শঙ্কার সঙ্গে ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক অপপ্রচার ও হয়রানিমূলক মামলা দায়েরের ঘটনাগুলো লক্ষ্য করছি এবং এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ২০০৭ সালের ১/১১-এর সময় রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা কর্তৃক প্রেরিত কিছু সংবাদ যাচাই না করে ছাপার জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করে যে বিরল পেশাগত মূল্যবোধের পরিচয় দিয়েছেন সেজন্য তাকে প্রশংসিত না করে নানাভাবে হেনস্থা করার এসব ঘটনা অনাকাক্সিক্ষত, বেদনাদায়ক ও হতাশাব্যঞ্জক বলে আমরা মনে করছি। এটি ভবিষ্যতে সাংবাদিকদের, এমনকি যে কোন মানুষকে স্বতস্ফূর্তভাবে ভুল স্বীকার করতে নিরুৎসাহিত করবে এবং সমাজে মিথ্যাচারকে প্রশ্রয় দেবে। আমরা অবিলম্বে মাহফুজ আনাম ও ডেইলি স্টারের বিরুদ্ধে সকল অপপ্রচার ও মিথ্যাচার বন্ধের এবং তার বিরুদ্ধে আনীত হয়রানিমূলক মামলাগুলো প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছি। একইসঙ্গে আমরা স্বাধীন সংবাদ প্রচারে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর হস্তক্ষেপ বন্ধে কী ধরনের আইনগত ও প্রাশাসনিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করা প্রয়োজন তা’ নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা শুরু করার আহবান জানাচ্ছি। বর্তমানেও গোয়েন্দা সংস্থা ও পুলিশের হেফাজতে স্বীকারোক্তির নামে যাচাই করা ছাড়াই যেসব সংবাদ গণমাধ্যমে অহরহ প্রকাশিত হচ্ছে তার যৌক্তিকতাও এই আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি। আমরা এও মনে করি যে, দেশের বিভিন্ন স্থানে হাজার হাজার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মানহানির যে মামলাগুলো করা হচ্ছে সেটি আইন ও বিচার ব্যবস্থাকে সংকীর্ণ ও ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহারের নিন্দনীয় প্রচেষ্টা। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করাই আমাদের আইন ও বিচার ব্যবস্থার মূখ্য উদ্দেশ্য। তাই রাজনৈতিক হাতিয়ার ও কৌশল হিসেবে আইন ও বিচার ব্যবস্থাকে ব্যবহারের অপচেষ্টায় আমরা শঙ্কিত। এছাড়াও মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে এই ধরনের নিন্দনীয় কর্মকা- আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের বাক্-স্বাধীনতাকে দারুণভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করবে এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তির অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হবে। এমতাবস্থায়, বাক্-স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও জনস্বার্থে মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও অহেতুক হয়রানির অবিলম্বে অবসান কামনা করি। বিবৃতিদাতারা হলেন- এম হাফিজ উদ্দিন খান, ড. আকবর আলী খান, ব্যরিস্টার রফিক উল হক, ড. এ টি এম শামসুল হুদা, ড. হামিদা হোসেন, সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, ড. শাহদীন মালিক, জাফরল্লাহ চৌধুরী, ড. ইফতেখারুজ্জামান, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) এম. সাখাওয়াত হোসেন, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ব্যারিস্টার মঞ্জুর হাসান, মো: নূর খান, সাদাফ নূর, ড. ফেরদৌস আজিম, স্বপন আদনান, মাসুদ খান, সৈয়দ আবুল মকসুদ, ড. তোফায়েল আহমেদ, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, খুশী কবির, ব্যরিস্টার সারা হোসেন, ড. সি আর আবরার, শিরীন হক, ড. শাহনাজ হুদা, ড. আহমেদ কামাল, ড. আসিফ নজরুল, রুবি গজনবী, লুবনা মরিয়ম, ফরিদা আক্তার, মেজর (অব.) আক্তার আহমেদ বীর প্রতিক, আনুশেহ আনাদিল, ড. নায়লা জামান খান, জাকির হোসেন।