নিরপেক্ষভাবে বিচারকাজ করুন: বিচারকদের প্রতি রাষ্ট্রপতি

0-1নিজস্ব প্রতিবেদক: রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, বিচার বিভাগ জনগণের শেষ আশ্রয়স্থল। এখানে এসে যেন মানুষ সুবিচার পায় সে দিকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনি বিচারের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার জন্য বিচারকদের প্রতি আহ্বান জানান।
শনিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বিচার বিভাগীয় সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।

এতে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিগণ, দেশের অধঃস্তন আদালতের সব পর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

বিচার বিভাগের সঙ্গে জীবনের অধিকাংশ সময় কেটেছে জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, আমাদের বিচার বিভাগের মূল সমস্যা হলো মামলার জট। বছরের পর বছর ঘুরেও বিচারপ্রার্থীরা বিচার পান না। বর্তমান সরকার বিচার বিভাগে মামলার জট খোলার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে নির্বাহী বিভাগ থেকে আমাদের বিচার বিভাগ আলাদা করা হয়েছে। এটি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য একটি মাইলফলক। দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা জরুরি বলে মনে করেন রাষ্ট্রপতি। কেউ যেন আদালতে গিয়ে বিচার থেকে বঞ্চিত না হয় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক ও আন্তরিক থাকার নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি।

একটি দরখাস্তের শুনানি সমাপ্ত হবার পর বা মোকদ্দমার যুক্তিতর্ক শুনানির পর আদেশ লাভে বা রায় প্রকাশিত হতে যাতে বিলম্ব না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। রায় বা আদেশ প্রদানের ক্ষেত্রে অহেতুক বিলম্ব কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

বিচার বিভাগকে ডিজিটালাইজড করাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করায় প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার ভূয়সী প্রশংসা করেন রাষ্ট্রপতি। প্রধান বিচারপতির গতিশীল নেতৃত্বে বিচার বিভাগ আরো এগিয়ে যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি।

অনুষ্ঠানে ২০০৫ সালে ১৪ নভেম্বর বোমা হামলায় নিহত ঝালকাঠি জেলা জজ ও দায়রা আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ জগন্নাথ পাঁড়ে এবং মো. সোহেল আহমেদের পরিবারকে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে অনুদান দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ওই দু্ই বিচারকের স্ত্রীর হাতে দুই লাখ টাকার পারিবারিক সঞ্চয়পত্র তুলে দেন।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম, প্রশাসনিক আপিল ট্রাইবুনালের সদস্য জ্যেষ্ঠ জেলা জজ মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার।

Print Friendly, PDF & Email