চাঁদপুরে ৪৫টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ: উৎকণ্ঠায় প্রার্থী ও ভোটাররা

0001নিজস্ব প্রতিবেদক : অন্যান্য জায়গার মতো আগামীকাল বুধবার চাঁদপুরের পাঁচটি পৌরসভায়ও অনুষ্ঠিত হবে ভোট গ্রহণ। পাঁচটি পৌরসভার ৭৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫৪টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই নির্বাচনকে ঘিরে মেয়র-কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী এবং সাধারণ ভোটারদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে।

নির্বাচনে মেয়র পদে ২০, কাউন্সিলর পদে ১শ’ ৯৭ ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৫২ প্রার্থী অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে লড়ছেন।

পাঁচটি পৌরসভায় ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯শ’ ৬৭ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। আর ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯শ’ ৬৭ ভোটারের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৯টি ভোট কেন্দ্র।

এর মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫৪টি ঝুঁকিপূর্ণ ও ২৫টি সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এজন্য জেলায় ইতিমধ্যে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষে প্রশাসন ও জেলা নির্বাচন অফিস সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

এদিকে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারের দেয়া সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাসের প্রতি আস্থা রাখতে পারছে না ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছাড়া অন্য প্রার্থীরা ও ভোটাররা। নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের মধ্যে বাড়ছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। অজানা এক ভয় প্রতিনিয়ত কুড়ে খাচ্ছে সাধারণ মানের ভোটারদের মনে। কি জানি কি হয়। আতঙ্ক দেখে মনে হচ্ছে ভোট না এলেই ভালো হতো।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, পৌর নির্বাচন ঘোষিত তফসিলে হাজীগঞ্জ, ছেংগারচর, মতলব, কচুয়া ও ফরিদগঞ্জ এই পাঁচটি পৌরসভায় মোট ৪৮টি ওয়ার্ড রয়েছে। ঐসব ওয়ার্ডের বিপরীতে ৭৯টি ভোট কেন্দ্র ও ৪শ’ ৭১টি বুথ নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর মধ্যে অস্থায়ী ভোট কেন্দ্র ৮টি এবং অস্থায়ী বুথ ৪৪টি। ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯শ’ ৬৭ ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৭৩ হাজার ৫শ’ ৮২ জন ও নারী ভোটার ৭২ হাজার ৩শ’ ৮৫ জন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতাউর রহমান শীর্ষ নিউজকে জানান, সবগুলি ভোট কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে ভাবা হলেও আমরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।

Print Friendly, PDF & Email