আমার রাজনৈতিক পথ সহজ ছিল না, ত্যাগী নেতাদের কারণেই আ.লীগ টিকে আছেঃ শেখ হাসিনা

0নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ ত্যাগী নেতা জন্ম দিয়েছে বলেই বারবার আঘাতে আসার পরও সংগঠন টিকে আছে। মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক স্মরণ সভায় এ কথা বলেন তিনি।

সদ্য প্রয়াত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজ ও প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নূরুল ইসলাম স্মরণে এ সভার আয়োজন করা হয়।
এ সময় তিনি আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাদের স্মরণ করে নিজের রাজনৈতিক জীবনের কথা বলতে গিয়ে জানান, আমার রাজনৈতিক পথ মোটেও সহজ ছিল না।

প্রয়াত যে দুই নেতার স্মরণে সভার আয়োজন করা হয়েছিল তাদের ত্যাগের ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, প্রয়াত নেতা এমএ আজিজ ও নূরুল ইসলাম ছিলেন আওয়ামী লীগের দুর্দিনের কাণ্ডারী। আওয়ামী লীগের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে তাদের অবদান ছিল ঈর্ষণীয়।

এমএ আজিজের স্মতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনের সময় থেকেই আজিজ ভাইয়ের পরিবার সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। ভাষা আন্দোলনে অংশ নেয়া ছাত্রদের সহায়তা, আশ্রয় দেয়া, সবই করতো আজিজ ভাইয়ের পরিবার।’

তিনি আরো বলেন, ‘এমএ আজিজের প্রতি ভরসা ছিল বলেই ২০০৭ সালে জেলখানা থেকে চিরকুট দিয়ে তাকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করেছিলাম। ওই সিদ্ধান্ত ভুল ছিল না। আজিজ ভাইয়ের নেতৃত্বেই মহানগর আওয়ামী লীগ এত শক্তিশালী হয়।’

আওয়ামী লীগ নেতা নূরুল ইসলামের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘নূরুল ভাই নিজের হাতে সংগঠনের পোস্টার লাগিয়েছেন। তিনি চাইলে অনেক কিছুই করতে পারতেন। কিন্তু দলের স্বার্থে নূরুল ভাই, সারাজীবন নিবেদিত থেকেছেন।’
দলীয় নেতাকর্মীদের এই দুই নেতার আদর্শ থেকে শিক্ষা নেয়ার আহ্বানও জানান শেখ হাসিনা।

প্রতিটি সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্যাতনের শিকার হতে হতে হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্যাতন সহ্য করেই আওয়ামী লীগে ত্যাগী নেতাদের জন্ম হয়েছে। আর এ কারণেই বারবার আঘাত আসার পরেও আওয়ামী লীগকে কেউ ধ্বংস করতে পারেনি।

মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কামাল আহমেদ মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাংসদ ফজলে নূর তাপস।

Print Friendly, PDF & Email