’সংসদ ভেঙ্গে নির্বাচন দিতে হবে’-মির্জা ফখরুল

র্রালিনিজস্ব প্রতিবেদকঃ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে মঙ্গলবার দুপুরে বর্ণাঢ্য র‌্যালি করেছে বিএনপি। র‌্যালিতে হাজার হাজার নেতা-কর্মী অংশ নিয়ে শ্লোগানে শ্লোগানে কারাবন্দি দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি তুলে ধরেন।

দুপুর ২টায় নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে র‌্যালি শুরু হয়। এর আগেই পুরো এলাকা পরিণত হয় জনসমুদ্রে। নয়া পল্টন থেকে কাকরাইল মোড় হয়ে শান্তিনগরে গিয়ে শেষ হয় র‌্যালী। নেতা-কর্মীরা লাল-সবুজ জাতীয় পতাকা হাতে, ব্যান্ডের তালে তালে শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রতিকৃতি বহন করে তারা। ‘স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া, লও সালাম, লও সালাম’, ‘রক্ত দিয়ে এনেছি স্বাধীনতা, রক্ত দিয়ে রাখবো স্বাধীনতা’, ‘মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই, দেশমাত্রা খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই, গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই, মুক্তি দিতে হবে’ এরকম নানা শ্লোগানে এসময় পুরো এলাকা প্রকম্পিত হয়ে উঠে। বিশাল র‌্যালীর অগ্রভাগ যখন শান্তিনগরের মোড়ে পুলিশ বেষ্টনির কাছে আসে তখন মিছিলের শেষ ভাগ ছিল নয়া পল্টনের কার্যালয়ের সামনে।

শোভাযাত্রা শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সারাদেশে আজ মানুষের কোনো অধিকার নেই। যে চেতনা নিয়ে আমরা গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করেছিলাম, সেই চেতনাকে ধংস করে দিয়ে জন্য সরকার একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইছে। স্বাধীনতা দিবসের এই দিনে আজকে আমাদের শপথ নিতে হবে- আমরা যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি, মানুষের অধিকার রক্ষায় বিশ্বাস করি তাহলে গণতন্ত্রকে মুক্ত করার জন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিতে সোচ্চার হবো।
তিনি বলেন, এ দেশের মানুষ শান্তি চায়, এদেশের মানুষ তাদের অধিকার ফিরে চায়, এদেশের মানুষ গণতন্ত্র ফিরে পেতে চায়। দেশনেত্রীকে মুক্তি দিতে হবে, শত সহস্ত্র যে রাজবন্দি আছে তাদের মুক্তি দিতে হবে । নিরপক্ষ সরকার গঠন করতে হবে নির্বাচনের জন্য। প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ ভেঙে দিতে হবে।

শোভাযাত্রা শুরুর আগে ট্রাকেরও পর দাঁড়িয়ে মহাসচিব ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বক্তব্য রাখেন।
র‌্যালীতে ঢাকা মহানগর বিএনপির উত্তর-দক্ষিন, মুক্তিযোদ্ধা দল, যুব দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, ছাত্রদল, যুবদল, শ্রমিক দল, তাঁতী দল, মস্য্যজীবী দল, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন (ড্যাব), ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (এ্যাব), এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মীর ঢল নামে।

র‌্যালীতে অংশ নেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মো: শাহজাহান, এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, আতাউর রহমান ঢালী, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, শামা ওবায়েদ, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কামরুজ্জামান রতন, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, মীর সরফত আলী সপু, আব্দুস সালাম আজাদ, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, আব্দুল আউয়াল খান, নাজিম উদ্দিন আলম, আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, মোস্তফা খান সফরী, সালাহউদ্দিন ভূঁইয়া শিশির, মো: শামীম, একরামুল হক বিপ্লব প্রমুখ।

অঙ্গসংগঠনের নেতাদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাদেক আহমেদ খান, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, যুবদলের সাইফুল ইসলাম নিরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের মামুনুর রশীদ, ঢাকা মহানগরের নেতা মুন্সী বজলুল বাসিদ আন্জু, ইউনুস মৃধা, হাবিবুর রশিদ হাবিব, একেএম মোয়াজ্জেম হোসেন, রবিউল আউয়াল, আনম সাইফুল ইসলাম, রবিউল আলম রবি, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, এজিএম সামসুল হক, চেয়ারম্যান আতাউর রহমান,এম এ হান্নান, তানভীর আহম্মেদ রবীন, প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া, দেলোয়ার হোসেন দুলু, হাজী আব্দুল মতিন, সিএম আনোয়ার হোসেন, সাঈদ হোসেন সোহেল, হাজী দুলাল, ফরিদ আহম্মেদ টিটু, আশরাফুল রহিম প্রমুখ অংশ নেন র‌্যলিতে।
২টা ৩০ মিনিটে শান্তিনগর মোড়ে আসার পর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দিয়ে বিএনপি মহাসচিব র‌্যালি সমাপ্ত করেন।

Print Friendly, PDF & Email