লন্ডনে বোতলে বোতলে গো-মূত্রের রমরমা বাণিজ্য

6_17992নিউজ ডেস্ক : ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে মাঝে মধ্যে গোমূত্রের নানা গুণাবলীর কথা শোনা গেলেও খোদ লন্ডনে এই বস্তুটির ব্যবসা দাঁড়িয়ে গেছে। সেখানে কিছু দোকানে বোতলে ভরে রীতিমতো লেবেল লাগিয়ে গোমূত্র বিক্রি হয় এবং সেটা প্রকাশ্যে। খবর বিবিসির

অনেক দোকানে দেখা গেছে, যে শেলফে পাউরুটি বিক্রি হচ্ছে সেটিরই নিচের তাকে গোমূত্র রয়েছে, বোতলে দাম লেখা। দোকানের কর্মকর্তারা জানান, হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকে এটি কিনতে আসেন। এটি তাদের ধর্মীয় আচারের সঙ্গে জড়িত। শিশু জন্মের পর যে পূজা করা হয়, তাতে ‘শুভকামনায়’ অনেকে গোমূত্র ব্যবহার করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওয়াটফোর্ডে অবস্থিত হরে কৃষ্ণ মন্দির, ভক্তিভেদান্ত মানর। এসব ধর্মীয় স্থাপনাগুলোরও ডেইরি ফার্ম রয়েছে যেখান থেকে তারা এই ‘গোমূত্র’ সংগ্রহ করে।

মন্দিরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গৌরি দাস বলেন, আমরা সত্তরের দশক থেকে এই গোমূত্র প্রক্রিয়াজাত করে বিক্রি করে আসছি। দক্ষিণ এশিয়ানদের অনেকের কাছে এর বিরাট একটি চাহিদা রয়েছে। অনেকে এটিকে পূজার কাজে ব্যবহার করে। আবার অনেকে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করে। এমনকি কোনো জিনিস শুদ্ধ করার কাজেও অনেকে এই গোমূত্র ব্যবহার করে।

এই বস্তুটির স্বাদ কেমন? ওই মন্দিরের একজন সদস্য প্রদীপ বলেন, ‘স্বাদে তিতা, আমার কাছে ওষুধের মতো মনে হয়।’ তবে ব্রিটেনের দ্য ফুড স্ট্যান্ডার্ডস এজেন্সি বলছে, মানুষের খাদ্য হিসেবে ব্যবহারের জন্য গরুর মূত্র এভাবে বিক্রি করা অবৈধ। অবশ্য ত্বকের ময়লা পরিষ্কার বা এরকম বাহ্যিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে খাদ্য আইনে বাধা নেই।

দোকানিদের যুক্তি মানুষের খাদ্য হিসেবে তারা এটি বিক্রি করেন না। বরং পূজারি এবং ভক্তদের জন্য, তাদের পূজার কাজে ব্যবহারের জন্য। এটা নিয়ে উচ্চবাচ্য করার কোনো যুক্তি আছে বলে তারা মনে করেন না। এদিকে খাদ্য বহির্ভূত পশু পণ্যগুলো লন্ডনে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এমনকি আমদানিকৃত পণ্যগুলোও ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করা হয়।

Print Friendly, PDF & Email