এবি পার্টির ইফতারে রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক ও নাগরিক সমাজের সম্মেলন
পদ্মা সেতুতে প্রমাণ ছাড়াই দুর্নীতির অভিযোগ আনে বিশ্বব্যাংক: নদীশাসনের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ আমাদের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ ছিল। অনেকে এগিয়ে এসেও হঠাৎ পিছিয়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজের প্রকল্প হাতে নিলে বিশ্ব ব্যাংক এগিয়ে আসে। কিন্তু হঠাৎ কোনো কারণ ছাড়া তারা দুর্নীতির অভিযোগ আনে। যদিও আমরা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বিএনপি সরকারের সময়ের দু’টি দুর্নীতির কাগজ দেখায়।
শনিবার সকালে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের মূল সেতু ও নদীশাসনের বাস্তব কাজের উদ্বোধন শেষে শরীয়তপুরের জাজিরায় আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দিতে তার সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা এখন শুধু ক্রিকেটেই সেঞ্চুরি করছি না, বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনেও সেঞ্চুরি করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণাঞ্চলকে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্যরা সবাই অবহেলার চোখে দেখেছে। আমরা নতুন পোর্ট করেছি, যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। সেই সঙ্গে উন্নত রেলওয়েও করা হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বার্ষিক উন্নয়নের ৯০ শতাংশ নিজেদের অর্থায়নে করতে পারি। বাংলাদেশ স্বাবলম্বী হবে। কারও কাছে হাত পেতে নয়। আমরা উৎপাদন করি। দেশের এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে সে লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
নদীশাসন কাজের উদ্বোধন:
এর আগে শনিবার সকালে শরীয়তপুরের জাজিরায় গিয়ে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের নদীশাসন কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
সকাল পৌনে ১০টার দিকে হেলিকপ্টারে করে তার জাজিয়ায় পৌঁছানোর কথা থাকলেও কুয়াশার কারণে তা বিলম্বিত হয়। এক ঘণ্টা নাওডোবা মৌজায় হেলিপ্যাডে নামার পর কয়েকশ গজ দূরে ফলক উন্মোচন করে তিনি নদীশাসন কাজের উদ্বোধন করেন।
সরকার আশা করছে, ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু ২০১৮ সালের মধ্যে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া যাবে।
বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নের সবচেয়ে বড় প্রকল্প এই পদ্মা সেতু। এ প্রকল্পের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ নদী শাসনের এই কাজটি করবে চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রো করপোরেশন। এতে ব্যয় হবে ৮,৭০৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
জাজিরায় সুধী সমাবেশেও বক্তব্য শেষে নৌপথে মাওয়ায় যাবেন প্রধানমন্ত্রী।
মাওয়ায় যাওয়ার পথে নদীর মধ্যে সাত নম্বর পিলারের পাইলিং কাজের জায়গাটিও দেখবেন তিনি। সেতুর ৪২টি পিলারের মধ্যে ওই ৭ নম্বর পিলারের মাধ্যমেই শুরু হবে মূল কাজ।
মাওয়ায় পৌঁছে সেখানে মূল সেতুর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন সরকারপ্রধান। দুপুরের পর মাওয়ায় এক জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি।
প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকা ব্যায়ের এই সেতু দিয়ে ঢাকাসহ দেশের পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি সড়কপথে যুক্ত হবে দক্ষিণ জনপদের ২১ জেলা।
সরকার,আশা করছে, এ সেতু হলে দেশের আর্থিক প্রবৃদ্ধি ১.২ শতাংশ বাড়বে এবং প্রতিবছর ০.৮৪ শতাংশ হারে দারিদ্র্য বিমোচন হবে।