চুয়াডাঙ্গায় আ’লীগ নেতার নির্দেশে বোমা হামলায় নিহত ২

lashচুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার গঙ্গাদাসপুর গ্রামে ভূমিহীনদের জমি দখলকে কেন্দ্র করে সীমান্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মালেক মালেক মোল্লার ক্যাডাররা বোমা হামলা চালিয়ে ও কুপিয়ে ভূমিহীন মোহাম্মদ আলী (৫০) ও সাহাবুদ্দীন (৬০) নামে দুইজনকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় শাহাবুদ্দিন, (৬০), মালেকা খাতুন (৩৬), আবদুল গফুর (৩৫), সুরাতন নেছা (৮৫), আলী হোসেন (৪০) ও ”ঞ্চল (৩০) আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
আজ সন্ধ্যা ৭টার দিকে গঙ্গাদাসপুর গ্রামে এঘটনা ঘটে। নিহত মোহাম্মদ আলী উপজেলার গঙ্গাদাসপুর গ্রামের মৃত জবেদ আলীর ছেলে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যায় ভূমিহীন মোহাম্মদ আলী, শাহাবুদ্দিন ও আমির হোসেনের বাড়িতে আওয়ামী লীগের নেতা মালেক মোল্লার লোকজন হামলা চালায়। এরপর তারা ৫/৬টি বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে মোহাম্মদ আলী, কাদের শেখের ছেলে শাহাবুদ্দিন, শাহাবুদ্দিনের স্ত্রী মালেকা খাতুন, তার ছেলে ”ঞ্চল, মৃত জবেদ আলীর ছেলে আবদুল গফুর, ফজের আরীর ছেলে আমির হোসেনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। তাদেরকে উদ্ধার করে জীবননগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোহাম্মদ আলীকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকীদের যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদের  মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

উল্লেখ্য, ৩ বছর আগে ১০০ ভূমিহীন পরিবারের ১৩০ বিঘা জমি দখল করে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে আওয়ামী লীগ নেতা মালেক মোল্লা ও তার লোকজন। দীর্ঘ দিন পরে গত তিন মাস আগে জাতীয় সংসদের হুইপ সোলাইমান হক জোযার্দ্দার ছেলুনের কাছে ভূমিহীনরা তাদের বাসা-বাড়ি ফেরত চায়। এরপর প্রশাসনের সহযোগিতায় পুনরায় ১০০ ভূমিহীন পরিবার তাদের বাড়িতে ফিরে আসে। এই ঘটনার পর উভয় গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটিসহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সোমবার সন্ধ্যায় মালেকের লোকজন অতর্কিত বোমা হামলা ও কুপিয়ে মোহাম্মদ আলীকে হত্যা করে ও বাকীদের আহত করে।

সীমান্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মালেক মোল্লা  জানান, আমি ঘটনাটি শুনেছি, তবে এ ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই।

জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবির জানান, জমিজমার বিরোধের জের ধরে এঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।

Print Friendly, PDF & Email