এবার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে পেটালো পুলিশ

002বরিশাল প্রতিনিধি আগৈলঝাড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আসাদুজ্জামান বাদল ওরফে সেরবিনিয়াবাতকে থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশের দু’দফা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আজ শনিবার দুপুরে থেকে বিকেল পর্যন্ত এই নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি শেরাল উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এবং গৈলা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার সেরাল গ্রামের আবু সেরনিয়াবাতের ছেলে গাছ ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান বাদল সেরনিয়াবাত আজ শনিবার দুপুরে দক্ষিণ শিহিপাশা গ্রামে সিরুর দোকানে চা পান করছিলেন।

এসময় দোকানের সামনের রাস্তা দিয়ে আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম স্থানীয় এমপি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন।

সড়কের পাশে রাখা গাছের সাথে পুলিশের পিকআপের ধাক্কা লাগে। এতে ওসি মনিরুল ইসলাম ব্যবসায়ী বাদলকে সড়কের পাশে গাছ রাখার অপরাধে গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে পিকআপ ভ্যান থেকে নেমে ওসি মনিরুল ইসলাম এবং পিকআপচালক মোকলেছুর রহমান বাদলকে চড়-থাপ্পড় মারেন।

বাদল অভিযোগ করে বলেন, মারধরের পর ওসি এবং তার ড্রাইভার পিকআপ ভ্যান নিয়ে চলে যায়। এ ঘটনার পরেই স্থানীয় এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর বাড়িতে বিচার চাইতে যান। তাকে হাসনাত আবদুল্লাহর বাড়িতে প্রবেশ করতে দেখে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন ওসি মনিরুল।

এ সময় সেখানে দ্বিতীয় দফায় বাদলকে ওসি মনিরুল ও তার গাড়ির চালক নির্যাতন করে। পরে স্থানীয়রা বাদলকে উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন।

বাদলের চাচাতো ভাই মো. লাবু সেরনিয়াবাত অভিযোগ করেন, পুলিশের দুদফা নির্যাতনে বাদলের শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। তার এক চোখের অবস্থা খারাপ। পুরো শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

আগৈলঝাড়া থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, পতিহার এলাকায় রাস্তায় কাটা গাছ রাখায় যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে পিকআপচালক মোকলেছ এবং গাছের মালিক বাদলের মধ্যে বাকবিত-া হয়েছে। পরে স্থানীয় এমপির বাড়িতে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে তার মিমাংসা হয়ে গেছে।

Print Friendly, PDF & Email