মেঘনায় ট্রলারডুবির ৭ দিন পর আরো ৩ যাত্রীর লাশ উদ্ধার

001চাঁদপুর প্রতিনিধি: হাইমচরের মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবির সাত দিন পর আরও দুই যাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে ছয় চার শিশুসহ সাত জনের লাশ উদ্ধার করা হলো। এখনও দুই জন নিখোঁজ রয়েছেন। সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মেঘনা নদীর হাইমচর-বরিশাল সীমান্ত এলাকা থেকে লাশ তিন উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা লাশগুলো হচ্ছে- হাইমচরের শাহ আলমের স্ত্রী নারগিস (৩২), মোস্তফা মৃধার ছেলে রতন (২) ও আহমদ উল্লাহ (৩৭)।

ট্রলারডুবির ঘটনায় প্রশাসনের তালিকা অনুযায়ী নিখোঁজ দুই জন হলো- শাহ আলমের মেয়ে শাহজাদী (১৭) ও সালেহ উদ্দিন নেপালের ছেলে সিয়াম (৮)।

হাইমচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়ালী উল্লাহ ওলি জানান, সোববার বিকেলে মেঘনা নদীর চাঁদপুর-বরিশাল সীমান্ত এলাকায় তিন জনের লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা তাদের খবর দেয়। পরে লাশ তিন উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৬ জানুয়ারি চাঁদপুরের হাইমচর মাঝেরচর এলাকায় মেঘনা নদীতে তেলবাহী ট্যাংকারের ধাক্কায় এমভি রবিন নামে একটি ট্রলার ৬০-৭০ জন যাত্রী নিয়ে ডুবে যায়। এ ঘটনায় কমপক্ষে নয় জন নিখোঁজ হয়েছে বলে উপজেলা প্রশাসন তালিকাভূক্ত করে। যদিও ট্রলারের যাত্রীরা জানিয়েছিলেন, দুর্ঘটনায় ১৫-২০ জন যাত্রী নিখোঁজ হয়েছিলেন।

বিআইডব্লিউটিএ ও সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ৬০ ঘণ্টা চেষ্টার পর ২৮ জানুয়ারি রাতে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করে। পরে ট্রলার মালিক স্থানীয় ডুবুরীদের সহযোগিতায় ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধার করে।

Print Friendly, PDF & Email