জয়পুরহাটে ইউপি চেয়ারম্যান হত্যার দুই আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

Pic-05.05.15জয়পুরহাট, দেশনিউজ.নেট : জেলার সদর উপজেলার ভাদসা ইউনিয়ন পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান একে আজাদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ও তার সহযোগী পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ওসিসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

সোমবার রাত আড়াইটার দিকে ভাদসা ইউনিয়নের গোপালপুর-কোঁচকুড়ি সড়কে এ ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন-ভাদসা ইউনিয়নের ছাওয়ালপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ সোহেল (৩৫) ও তার সহযোগী কোঁচকুড়ি গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে মুনির হোসেন (৩২)। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন-সদর থানার ওসি ফরিদ হোসেন, এএসআই মশিউর রহমান ও কনস্টেবল মোস্তাফিজ। তাদের জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জয়পুরহাট সহকারী পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলামেইলকে জানান, চেয়ারম্যান একে আজাদ হত্যা মামলার আসামিরা তার গ্রামের বাড়ি কোঁচকুড়িতে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে দুই সন্ত্রাসী নিহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ১টি বিদেশি পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলি ২টি হাসুয়া উদ্ধার করে। নিহত সোহেলের বিরুদ্ধে সদর থানায় ৩টি সন্ত্রাসী মামলা রয়েছে।

উল্লেখ্য, জেলা সদরের ভাদসা ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান একে আজাদ গত ৪ জুন রাতে একই উপজেলার দূর্গাদহ বাজার থেকে মোটরসাইকেলে নিজ বাড়ি কোঁচকুঁড়ি গ্রামে ফিরছিলেন। গ্রামের কাছাকাছি একদল মুখোশধারী সন্ত্রাসী তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে মারাত্মক আহত করে। ওই সময় তার আত্মচিৎকার শুনে নয়ন কুমার বর্মন নামে এক পথচারী এগিয়ে গেলে তাকেও গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

গুরুতর আহত দুজনকে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার পেটে অস্ত্রপাচার শেষে আইসিইউতে রাখার পর গত শুক্রবার তাকে পপুলার ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। গত রোববার (১২ জুন) ভোর ৬টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

Print Friendly, PDF & Email