‘আনপ্রেডিক্টেবল’ তকমায় আপত্তি পাকিস্তানি কোচের

স্পোর্টস ডেস্ক : ইংল্যান্ডের আবহাওয়া আর পাকিস্তান ক্রিকেট দলের পারফরম্যান্স আগে থেকে ধারণা করা মুশকিল। ধারণার বাইরে খেলার জন্যই ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ তকমা চিরকালই তাদের গায়ে সাঁটা। অথচ কোচ মিকি অর্থারের এই তকমাতেই নাকি বড্ড আপত্তি। এবারের বিশ্বকাপে অন্তত এই ‘অপবাদ’ গায়ে মাখতে চান না তারা।

এবার বিশ্বকাপে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) নিজেদের স্লোগান বানিয়েছে। সেই ‘উই হ্যাভ, উই উইল’ অর্থাৎ ‘আমরা আগে দেখিয়েছি, আবার দেখাব’ স্লোগানকেই বেশ মনে ধরে আর্থারের।

এই স্লোগান ধরে তাই আগের অপবাদ একদম ঝেড়ে ফেলতে চান তিনি, ‘আনপ্রেডিক্টেবল শব্দকে আমাদের কোচিং স্টাফের সবাই ঘৃণা করে। বিশ্বকাপ নিয়ে বিভিন্ন লেখায় দেখবেন পাকিস্তানকে সম্ভাব্য সেমিফাইনিস্ট ভাবা হচ্ছে এই আনপ্রেডিক্টেবল তকমা জুড়ে দিয়ে। সত্যিই আমার কাছে এর কোন মানে নেই। আমরা সেরা চার দলের মধ্যে থাকলে নিজেদের পরিশ্রম আর যোগ্যতায় থাকব। অন্য কিছুর জন্য না।’

‘পিসিবি দারুণ একটা স্লোগান বানিয়েছে, উই হ্যাভ, উই উইল। আমরা আগেও বড় মঞ্চে জিতেছি, সাফল্য দেখিয়েছি। আবারও সেটা করতে চাই।’

অবশ্য ইংল্যান্ডে বৈশ্বিক আসরে পাকিস্তানিদের রেকর্ড বেশ ভালো। গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে র‍্যাঙ্কিংয়ের আট নম্বর দল হয়ে গিয়েও চ্যাম্পিয়ন হয়ে গিয়েছিল তারা। ১৯৯৯ সালে ইংল্যান্ডে হওয়া সর্বশেষ বিশ্বকাপেও পাকিস্তান খেলেছিল ফাইনালে।

তবে সেবার দুরন্ত খেলেও ফাইনালে গিয়ে অস্ট্রেলিয়ার কাছে খুঁজেই পাওয়া যায়নি ওয়াসিম আকরামদের। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের বিশ্বকাপে একদম বিবর্ণ ছিল তারা। আর্থার যত যাই বলুন, পাকিস্তানের ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ তকমা এমনি এমনি নয়। তবে অর্থার মনে করছেন নিজেদের পরিশ্রম আর ধারাবাহিকতা দিয়েই এই লেবাস মুছে ফেলবেন তারা, ‘আমরা কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি। ঠিক প্রক্রিয়ায় অনুশীলন করছি। আমাদের রুটিন ঠিকমতো অনুসরণ করছি। আমি জানি, এভাবে এগোতে থাকলে ওসব লেবাস থাকবে না।’

Print Friendly, PDF & Email