• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

আফগানদের সঙ্গে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ভারতের মান বাঁচানোর জয়

স্পোর্টস ডেস্ক: পচাঁ শামুকে পা কাটার অবস্থা হয়েছিল। তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে শেষ পর্যন্ত আফগানের কাছে সম্ভ্রম রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে কোহলির ভারত। তবে তাদের উদযাপন দেখে যে কারও মনে হতে পারে বিশ্বসেরা কোন দলকে বদ করেছে।

বিশ্বকাপ জমে গেছে শুক্রবারই। শ্রীলঙ্কা যখন ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল হেডিংলিতে। আজ সাউদাম্পটনে তার চেয়ে বড় অঘটনের জন্ম নিতে যাচ্ছিল। আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যানরা পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলতে না পারায় বড় বাঁচা বেঁচে গেছে ভারত। আফগানিস্তানকে হারিয়ে তিনে চলে এসেছে ভারত।

শনিবার আগে ব্যাট করে গত ৯ বছরে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বনিম্ন স্কোর করে ভারত। তাতে বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের কাছে হার চোখ রাঙাচ্ছিল তাদের। কিন্তু মাত্র ২২৪ রান করেও অঘটনের শিকার হয়নি বিরাট কোহলির দল। বোলারদের দারুণ দক্ষতায় সাউদাম্পটনে ১১ রানে জিতলো ভারতই।

আগে ব্যাট করতে নেমে বিরাট কোহলি ও কেদার যাদবের হাফসেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটে ২২৪ রান করে ভারত। জবাবে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলেন আফগান ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু ভারতীয় পেসে সুবিধা করতে পারেননি তারা। ৪৯.৫ ওভারে ২১৩ রানে গুটিয়ে গেছে তারা।

মাত্র ২২৫ রানের লক্ষ্যে নেমেছিল আফগানিস্তান। কিন্তু ঘাম ছুটেছে তাদের। মাত্র ২০ রানে ভাঙে তাদের উদ্বোধনী জুটি। মোহাম্মদ সামি ১০ রানে বোল্ড করেন ওপেনার হযরতউল্লাহ জাজাইকে।

এরপর অধিনায়ক গুলবাদিন নাইবের সঙ্গে রহমত শাহ এগিয়ে নিতে থাকেন দলকে। ২৭ রান করে হার্দিক পান্ডিয়ার শিকার হন নাইব। ৪৪ রানে ভাঙে এই জুটি। পরে তৃতীয় উইকেটে হাসমতউল্লাহ শহীদী প্রতিরোধ গড়েন রহমতের সঙ্গে। কিন্তু ৪২ রানের এই জুটি ভেঙে ম্যাচের মোড় পাল্টে দেন জসপ্রীৎ বুমরাহ।

৩৬ রানে রহমত আউট হওয়ার দুই বল পর বুমরাহ ফিরতি ক্যাচে ফেরান হাসমতউল্লাহকে (২১)। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা আফগানিস্তান লড়াই করতে থাকে মোহাম্মদ নবীর ব্যাটে। নাজিবউল্লাহ জাদরানের সঙ্গে ৩৬ রানের এবং রশিদ খানকে নিয়ে তার ২৪ রানের জুটি ম্যাচে উত্তেজনা ধরে রাখে।

৪৮তম ওভারে রিভিউ নিয়ে জীবন পাওয়া নবী শেষ পর্যন্ত দলকে জেতাতে পারেননি। শেষ দুই ওভারে ২১ রান দরকার ছিল আফগানদের। বুমরাহ তার শেষ ওভারে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৫ রান দেন। তাতে শেষ ওভারে তাদের লক্ষ্য ছিল ১৬ রানের। সামির ওভারে প্রথম বলে ৪ মেরে নবী উত্তেজনা বাড়ালেও তৃতীয় বলে পান্ডিয়ার ক্যাচ হন। ৫৫ বলে চারটি ৪ ও একটি ছয়ে ৫২ রান করেন তিনি। পরের দুই বলে আফতাব আলম ও মুজিব উর রহমানকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক করেন সামি।

১৯৮৭ সালে চেতন শর্মার পর বিশ্বকাপে প্রথম ভারতীয় হিসেবে হ্যাটট্রিক করলেন সামি। বিশ্বমঞ্চে এটি দশম হ্যাটট্রিকের ঘটনা। সর্বোচ্চ চার উইকেট নিয়ে ম্যাচ শেষ করেছেন সামি। দুটি করে পান বুমরাহ, পান্ডিয়া ও যুজবেন্দ্র চাহাল। ম্যাচসেরা হয়েছেন বুমরাহ।এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বিরাট কোহলির ৬৭ ও কেদার যাদবের ৫২ রানের কল্যাণে ৮ উইকেটে ২২৪ রান করে ভারত। আগে ব্যাট করতে নেমে ২০১০ সালের পর এটাই ওয়ানডেতে ভারতের সর্বনিম্ন ইনিংস।

পঞ্চম ম্যাচ শেষেও অজেয় থাকা ভারতের অর্জন ৯ পয়েন্ট। তিন নম্বরে উঠে এসেছে তারা।

Print Friendly, PDF & Email