• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

৬৪ রানের বড় জয় অজিদের, খুশির জোয়ার বাংলাদেশেও

স্পোর্টস ডেস্ক: ইংলিশদের ৬৪ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপে ষষ্ঠ জয় তুলে নিলো অস্ট্রেলিয়া। এ জয়ে খুশির জোয়ার বাংলাদেশেও। কারণ এই হারে সেমিফা্ইনালের পথ অনেকটা কঠিন হয়ে গেলো ইংল্যান্ডের জন্য। আর আশা বেঁচে থাকলো টাইগারদের।
সেমিতে পা রাখার জন্য অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি জেতা অনেক বেশি প্রয়োজন ছিলো স্বাগতিক ইংলিশদের। কিন্তু তা সম্ভব করতে পারেনি ইয়ান মরগানের দল। অস্ট্রেলিয়ার দেয়া ২৮৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৪৪.৪ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২২১ রান সগ্রহ করে ইংলিশরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ (৮৯) রান করেন বেন স্টোকস।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮৫ রান সংগ্রহ করে অজি ব্যাটসম্যানরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ (১০০) রান করেন অ্যারন ফিঞ্চ। ডেভিড ওয়ার্নারের ব্যাট থেকে আসে (৫৩) রান।

মঙ্গলবার বিশ্বকাপের ৩২তম ম্যাচটি লন্ডনের লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় ম্যাচটি শুরু হয়। টস জিতে ইংল্যান্ড দলের অধিনায়ক ইয়ান মরগান অজিদের আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান।

ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নার। উইকেট অক্ষুন্ন রেখে দেখে-শুনে খেলে ১৯ ওভারে এক শ’ রান তোলে অজিরা। ওয়ার্নার তুলে নেন ক্যারিয়ারের ২০তম অর্ধশতক। ফিফটি হাঁকানোর পর বেশিক্ষণ আর মাঠে স্থায়ী হতে পারেননি তিনি। ইনিংসের ২৩তম ওভার করতে আসা অপ স্পিনার মইন আলির বলে জো রুটকে ক্যাচ দিয়ে ৫৩ রানে ফেরেন ওয়ার্নার। দুজনের জুটি থেকে আসে ১২৩ রান। ওয়ানডাউনে ব্যাট করতে নামা ওসমান খাজাও নিজেকে বেশ মেলে ধরতে পারেননি। দলের ১৭৩ রানের মাথায় ২৩ রান করে ৩৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বেন স্টোকসের দুর্দান্ত ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। খাজার পর ক্যারিয়ারের ১৫তম সেঞ্চুরি করে ফিরে যান অ্যারন ফিঞ্চও। ১১৬ বলে ১১ চার ও দুই ছক্কায় ১০০ রান করে জোফরা আর্চারের শিকার হন তিনি। প্রথম দিকে ওপেনারদের দৃঢ়তায় সাড়ে তিন শ’ রানের আভাস দিলেও শেষ দিকে ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ায় তা আর সম্ভব হয়নি। ফিঞ্চ-ওয়ার্নার ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যান বড় রান এবং ঝড় তুলতে পারেনি। তাই বড় স্কোরও গড়া সম্ভব হয়নি। দলের রান যারা মাঝপথে দ্রত তোলার কাজ তাদের স্টিভেন স্মিথ ৩৮, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ১২, মার্কোস স্টয়নিস ৮ ও পেট কামিন্স করেন ১ রান করে ফিরে যান! তখন শেষ পর্যন্ত অ্যালেক্স কেরির অপরাজিত ২৭ বলে ৩৮ ও মিচেল স্টার্কের অপরাজিত ৪ রানের সুবাধে ৫০ ওভারে ৭ ্উইকেট হারিয়ে ২৮৫ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় অস্ট্রেলিয়া। আর তাতে ইংল্যান্ডের সামনে দাঁড়ায় ২৮৬ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য।

ইংলিশ বোলারদের মধ্যে ক্রিস ওয়াকস ২টি, জোফরা আর্চার, মইন আলি, বেন স্টোকস ও মার্ক উড একটি করে উইকেট শিকার করেন।

অস্ট্রেলিয়ার দেয়া ২৮৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ইংল্যান্ড। ৫৩ রানে প্রথম সারির ৪ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে অনেকটাই চাপে পড়ে যায় ইংলিশরা। মিচেল স্টার্ক ও জেসন বিহানড্রপের বোলিং তোপে পড়ে দাঁড়াতেই পারেননি জেমস ভিন্স, জো রুট, ইয়ন মরগান ও জনি বায়েস্ট্রোরা

ইনিংসের দ্বিতীয় বলে দলীয় শূন্য রানে বিহানড্রপের গতির বলে স্ট্যাম্প ভেঙে যায় জেমস ভিন্সের। নিজের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে ফর্মের তুঙ্গে থাকা জো রুটকে এলবিডব্লিউ করেন মিসেল স্টার্ক।

দলীয় ষষ্ঠ ওভারে স্টার্কের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক ইয়ন মরগান। অস্ট্রেলিয়ান পেসারদের গতির মুখে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন ওপেনার জনি বেয়ারস্টো। তিনি বিহানড্রপের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন। তার আগে ৩৯ বলে ২৭ রান করেন বেয়ারস্টো। ১৩.৫ ওভারে ৫৩ রানে চার ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে ইংলিশরা।

Print Friendly, PDF & Email