ফ্যাসিবাদ বিরোধীদের বিভেদ পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসরদের লাভবান করবে – খেলাফত মজলিস
ইরান-যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ বাঁধলে বাংলাদেশের ওপর কেমন প্রভাব পড়বে?
নিউজ ডেস্ক |
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বিবিসিকে বলেছেন, উত্তেজনাকর পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে ইরান ও ইরাকসহ আশপাশের দেশগুলোতে থাকা বাংলাদেশের নাগরিকরা যেনো সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেন সেজন্য দূতাবাসগুলোকে সহায়তা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তবে ইরান এবং ইরাকে দূতাবাসের কর্মকর্তারা বলেছেন, এই দু’টি দেশে থাকা বাংলাদেশীদের সরিয়ে নেয়ার মতো পরিস্থিতি এখনও হয়নি এবং এখনই তাদের তেমন চিন্তা নেই।
বাগদাদসহ ইরাকের বিভিন্ন শহরে প্রায় দুই লাখ বাংলাদেশী শ্রমিক রয়েছে। সেখানে থাকা কয়েকজন শ্রমিক জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে উৎকন্ঠা কাজ করছে।
ইরানে দশ হাজারের মতো বাংলাদেশী থাকতে পারে বলে কর্মকর্তারা বলছেন।
যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে উত্তেজনার কারণে বিশ্বের সাথে বাংলাদেশও উদ্বিগ্ন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোই বাংলাদেশের বড় শ্রম বাজার। সেখানে কোনো অংশে খারাপ পরিস্থিতি হলে ঐ দেশগুলোতে থাকা শ্রমিকদের ওপর তার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। সেজন্য তাদের জন্য সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়ার কথা বলেছেন মন্ত্রী মি: মোমেন।
“এ ধরণের ঘটনায় সারা বিশ্বইতো উদ্বিগ্ন। আমরা কারও পক্ষে নই। আমাদের সবার সাথে বন্ধুত্ব এবং আমরা অস্থিতিশীলতা চাই না।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেছেন, “আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের বিরাট সংখ্যক জনবল সেখানে কাজ করে, পরিস্থিতি খারাপ হলে তাদের অসুবিধা হবে। আমরা বলেছি, যাতে তাদের কোনো অসুবিধা না হয়, সেজন্য তাদের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশেষ করে ইরান এবং ইরাকে বাংলাদেশের যারা আছেন, তাদের আমরা সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছি।”
ইরাক থেকে বাংলাদেশের দূতাবাসের কর্মকর্তা অহিদুজ্জামান লিটন বলছেন, বাংলাদেশী কর্মিদের তারা টেলিফোন এবং সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন।
“আমরা দূতাবাস থেকে বাংলাদেশের নাগরিকদের ভীত না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। তাদের বলছি তারা যেন বাইরে ঘোরাফেরা না করে কর্মস্থল এবং বাসার ভেতরে থাকেন, কারণ এখানে একটা যুদ্ধাবস্থা দৃশ্যমান হচ্ছে।”
তবে ইরাক বা ইরানে বাংলাদেশের দূতাবাসের কর্মকর্তারা বলছেন, এখনও সেখান থেকে বাংলাদেশীদের সরিয়ে নেয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি হয়নি।
ইরানে থাকা সেথানে থাকা বাংলাদেশীদের কয়েকজন জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে এখনও কোনো উৎকন্ঠা বা ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি।
ইরানে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছেন এমন একজন বাংলাদেশী বলছিলেন, তারা স্বাভাবিক পরিবেশেই আছেন।
দুবাই থেকে স্থানীয় একজন সাংবাদিক সাইফুর রহমান বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোতে থাকা বাংলাদেশিদের মাঝে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা নিয়ে এখনও কোনো উদ্বেগ নেই বলে তার মনে হয়েছে। তিনি বলছেন, পরিস্থিতি যুদ্ধে গড়াবে এটা এখনও এখানে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা মনে করছেন না।
সূত্রঃ বিবিসি