• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

বাংলাদেশে অর্থ পাচার বেড়েছেঃ বছরে পাচার ৫৫.৮৮ বিলিয়ন ডলার

01নিউজ ডেস্কঃ ২০০৪-১৩ এই এক দশকে বিশ্বের উন্নয়নশীল ও উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলো থেকে ৭ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচার হয়েছে।এর মধ্যে অবৈধ বাণিজ্যের মাধ্যমে পাচার হয়েছে ৬ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলার। এই এক দশকে বাংলাদেশ থেকে অন্য দেশগুলোতে পাচার হয়েছে ৫৫ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি (জিএফআই) বুধবার বিশ্বের উন্নয়নশীল ও উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর মুদ্রা পাচার নিয়ে একটি সমীক্ষাপত্র প্রকাশ করেছে। জিএফআইয়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ দেব কার ও কনিষ্ঠ অর্থনীতিবিদ জোসেফ স্পানজার সমীক্ষাপত্রটি তৈরি করেন। ১৩৯ দেশের মুদ্রা পাচারের তথ্য সেখানে দেওয়া হয়েছে।

অবৈধভাবে মুদ্রা পাচারের তালিকায় গত এক দশকে চীন, রাশিয়া, মেক্সিকো, ভারত ও মালয়েশিয়া শীর্ষ পাঁচে রয়েছে। বাংলাদেশ এই তালিকায় রয়েছে ২৬ নম্বরে। এক দশকে বাংলাদেশ থেকে ৫৫ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচার হয়েছে। জিডিপির হিসাবে এর পরিমাণ ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ।

২০০৪ সালে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া মুদ্রার পরিমান ছিল ৩ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৩ সালে তা বেড়ে হয় ৯ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার। গড়ে প্রতিবছর ৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশী মুদ্রা পাচার হয়েছে।
২০০৩-১২ সালের প্রকাশিত সমীক্ষাপত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৫১তম।

‘উন্নয়নশীল দেশ হতে মুদ্রা পাচার : ২০০৪-২০১৩’ শিরোনামে ওই সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ সালে বিশ্বে অবৈধ মুদ্রা পাচারের পরিমাণ প্রথম ১ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। ২০১৩ সালে পাচার হয় ১ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন ডলার। যেখানে ২০০৪ সালে এর পরিমাণ ছিল ৪৬৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার।

সমীক্ষাপত্রটি সম্পর্কে জিএফআইয়ের চেয়ারম্যান রেমন্ড বেকার বলেন, ‘এই সমীক্ষা থেকে এটাই পরিষ্কার হয় যে, উন্নয়নশীল ও উদীয়মান দেশগুলোর জন্য অবৈধ মুদ্রাপ্রবাহ তাদের অর্থনীতির জন্য সবচেয়ে বড় অন্তরায়।

Print Friendly, PDF & Email