পাল্টাপাল্টি সমাবেশঃ বিকল্প পথ বিএনপির নয়াপল্টন, আ’ লীগের বঙ্গবন্ধু এভিনিউ

Al-BNP-2নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিতর্কিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তিকে ঘিরে আবারও অস্থিরতা দেখা দিচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। গেল বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দুই প্রধান রাজনৈতিক দল ৫ জানুয়ারি কেন্দ্রিক কোন কর্মসূচি ঘোষণা না করলেও বছরের শুরুতেই ‘ছাত্রদলের অনুষ্ঠানে’ ঢাকায় সমাবেশের ইঙ্গিত দেন বিএনপির দফতরের দায়িত্বে থাকা যুগ্ম মহাসচিব সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী। দুই জানুয়ারি নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার দলীয় সিদ্ধান্তের কথা জানান দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোহরাওয়ার্দীতে বিএনপি সমাবেশ করার ঘোষণা দেয়ার পর একই দিন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ ৫ জানুয়ারি নিয়ে কর্মসূচি পালনে দলের আগ্রহের কথা জানান। ওই দিন তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানম-ির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন কর্মসূচি প্রণয়নের কাজ চলছে। শিগগিরই তা জানিয়ে দেয়া হবে। অবশেষে একই দিন একই স্থানে আওয়ামী লীগও সমাবেশের কথা জানায়। এরপরই এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ বাড়তে থাকে। এদিকে গতকালও সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশের অনুমতির জন্য বিএনপির চার সদস্যের একটি দল ডিএমপিতে গিয়েছিলেন।

এদিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি না পেলে বিকল্পস্থানে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি না পেলে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে চায় বিএনপি। আর এজন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাছে অনুমতি চেয়ে চিঠিও পাঠিয়েছে দলটি।

অপরদিকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি না পেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে সমাবেশ করা হবে। এছাড়া ঢাকার অন্য ১৭টি স্পটেও কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ।

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেন, ৫ জানুয়ারি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার ঘোষণা দেওয়ার পরই আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও সমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয়। তারা সংঘাত ও উত্তাপ ছড়ানোর উদ্দেশ্যেই এ সমাবেশ ডেকেছে।

তিনি বলেন, আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে সোহরাওয়ার্দীতে জনসভা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু একই সময়ে সরকারদল সংঘাত সৃষ্টির জন্য জনসভা ডেকেছে। তাই আমরা সংঘাত এড়াতে নয়াপল্টনে জনসভা করার অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছি।

Print Friendly, PDF & Email