ফ্যাসিবাদী রাজনীতি নিষিদ্ধে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার আহ্বান বিশিষ্টজনের
নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ সত্ত্বেও বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিকাশে কাজ করবে যুক্তরাজ্য: সংবাদ সম্মেলনে ব্লেক
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকায় নবনিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার এলিসন ব্লেক বলেন, বাংলাদেশের গত সংসদ নির্বাচনসহ যেসব নির্বাচন হয়েছে, তাতে তারা উদ্বেগ জানিয়েছিল। এখনো সে উদ্বেগ রয়েছে। তিনি বুধবার বারিধারায় ব্রিটিশ হাইকমিশনারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন।
তবে, আগামীতে যেন গণতন্ত্র বিকাশ লাভ করে তার জন্য সব রাজনৈতিক দল, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ঠ সকলের সঙ্গে তার দেশ কাজ করে যাবে বলেও আশ্বস্ত করেন এলিসন ব্লেক।
তিনি আরো বলেন, উদ্বেগ থাকা শর্তেও গণতন্ত্রের বিকাশে তারা কাজ করে যাবে।
এর আগে উদ্বোধনী বক্তৃতায় বৃটিশ হাইকমিশনার বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন।
তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের বন্ধু ও বৃহত্তম দ্বিপক্ষীয় দাতা দেশ হিসেবে বাংলাদেশের ভবিষ্যতকে এগিয়ে নেয়ার ব্যপারে কাজ করে যাবে।
এলিসন ব্লেক বলেন, বাংলাদেশের মানুষের বৃটিশ সমাজেও অপরিমেয় অবদান রয়েছে। যক্তরাজ্য বিশ্বাস করে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় এবং এ দেশের জনগণের জন্য আরো শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ একটি জাতি গঠনে যুক্তরাজ্য সহায়তা করতে পারে।
তিনি বলেন, আইনের শাসনের মাধ্যমে বিকশিত সিভিল সোসাইটি নিয়ে গড়ে ওঠা গণতন্ত্র হচ্ছে সমৃদ্ধ ও স্থিতিশীল সমাজ বিনিমার্ণের সব চেয়ে উত্তমপন্থা।
ব্রিটিশ এই হাইকমিশনার বলেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের সঙ্গে কয়েকটি মৌলিক বিষয় নিয়ে কাজ করে। এর মধ্যে সংসদীয় গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সহিষ্ণুতা, বহুত্তবাদি ব্যবস্থা অন্যতম।
তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের সঙ্গে কিছু সাধারণ বিষয় নিয়ে কাজ করে। যেগুলো কোনো দেশের একার পক্ষে মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। এর মধ্যে রয়েছে চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি।
তিনি আরো বলেন, যুক্তরাজ্যের লোকজনের বাংলাদেশের চলাফেরায় যে সতর্কতা ছিল তা এখনো বলবৎ আছে।
এছাড়া বিমানবন্দরে নিরাপত্তার বাড়ানোর বিষয়েও কথা বলেন এলিসন ব্লেক। তার পূর্বসূরি হাইকমিশনার রবার্ট গিবসনকে স্বরণ করে বলেন, তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক যে জায়গায় রেখে গেছেনে সেখান থেকে কাজ শুরু করবেন।
এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে মানবাধিকার লঙ্ঘনে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ সার্বিক পরিস্থিতি যুক্তরাজ্য গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
এলিসন ব্লেক জানান, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় সব সময় যুক্তরাজ্য পাশে থাকবে। একই সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ উন্নয়নের সবক্ষেত্রে অংশীদার হিসেবে কাজ করতে আগ্রহী।