ফ্যাসিবাদ বিরোধীদের বিভেদ পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসরদের লাভবান করবে – খেলাফত মজলিস
মিডিয়ার কোন মালিক কত টাকা ব্যাংক ঋণ নিয়ে খেলাপি হয়েছেন তার হিসাব নেয়া হবে : প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পত্রিকা, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কোন মালিক কোন ব্যাংকের কত টাকা ঋণ নিয়ে কত টাকা শোধ দেননি বা খেলাপি হয়েছেন, সেটি বের করলে এ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া লাগবে না। বাজেট–পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে খেলাপি ঋণের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘পত্রিকা বা ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মালিকেরা কত টাকা ঋণ নিয়েছেন, সেটির একটি হিসাব নেওয়া হবে এবং তাঁদের টাকাটা শোধ দিয়ে তাঁদের পত্রিকায় লেখেন, এটি আমার অনুরোধ থাকবে।’
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল অসুস্থ থাকায় আজ শুক্রবার বেলা তিনটায় ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাজেট–পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুরুতে তিনি বাজেটের বিভিন্ন দিক এবং সরকারের পরিকল্পনার কথা সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন। পরে বাজেট নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘যাঁরা এখানে পত্রিকায় কাজ করেন, তাঁদের একটি কথা জিজ্ঞেস করব, আপনারা কি একটি খবর নেবেন যে আপনাদের পত্রিকার মালিকেরা কে কোন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন এবং শোধ দিয়েছেন কি না? আপনারা দয়া করে সব ব্যাংক থেকে এই তথ্যটি বের করেন, যত মিডিয়া এখানে আছেন, যত পত্রিকা…প্রত্যেকেই বলবেন (মালিকদের) যে এটা আমি অনুরোধ করেছি।’
অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যত্রতত্র অনলাইন নিউজ পোর্টাল গজিয়ে উঠছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলো নিবন্ধনের ওপর তাগিদ দেন।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমাদের সুদের হার অনেক বেশি। যেহেতু চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ হয়। আরেকটি বিষয় রয়ে গেছে, যখন হিসাব দেওয়া হয় তখন চক্রবৃদ্ধি হারে সেটি ধরে হিসাব দেওয়া হয়। এর ফলে খেলাপি ঋণের পরিমাণ অনেক বড় দেখায়।’
বাজেট নিয়ে সমালোচনার বিষয়ে এক সাংবাদিক দৃষ্টি আকর্ষণ করলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দেশে কিছু লোক থাকে, যাদের একটি মানসিক অসুস্থতা থাকে, তাদের কিছুই ভালো লাগে না। আপনি যত ভালো কাজই করেন, তারা কোনো কিছু ভালো খুঁজে পায় না।’ তিনি আরও বলেন, যখন দেশে একটি গণতান্ত্রিক পদ্ধতি থাকে, যখন দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি হয়, সাধারণ মানুষের উন্নতি হয়, তখন তারা কোনো কিছুই ভালো দেখে না। সবকিছুতেই কিন্তু খোঁজে। তারপরও তাদের একটা কিছু বলতে হবে। তো সেটা ভালো। এত সমালোচনা করেও আবার বলবে—আমরা কথা বলতে পারি না। এ রোগটাও আছে। এটা অনেকটা অসুস্থতার মতো।