ফ্যাসিস্টবিরোধী জাতীয় ঐক্যকে শক্তিতে পরিণত করতে হবে – সালাহউদ্দিন
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাসের পরও খুলনা অঞ্চলে চলছে না বাস
নিউজ ডেস্ক |
রাজধানীতে গণ পরিবহন চলাচল স্বাভাবিক হলেও ঢাকার বাইরে অনেক এলাকায় ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত মানছে না শ্রমিকরা।
গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাসে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়া হলেও ধর্মঘট প্রত্যাহার হয়নি সব জেলায়।
বিশেষ করে খুলনা বিভাগের ১০ জেলা থেকে সকাল থেকে ছাড়েনি কোন দূরপাল্লার বাস। পণ্য পরিবহনেও অচলাবস্থা কাটেনি। বাস ছেড়ে যাচ্ছে না পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে বড় টার্মিনাল সোনাডাঙ্গা থেকে। দূরপাল্লার বাস ছাড়ছে না বিভাগের অন্য জেলা থেকেও।
অভ্যন্তরীণ রুটে কিছু বাস আর ট্রাক চললেও তার সংখ্যা খুবই কম। এতে সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ভোগান্তি বেড়েছে যাত্রীদের। একই অবস্থা রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলের কয়েক জেলায়। সীমিত পরিসরে বাস চলছে সবকটি রুটে। চট্টগ্রাম বিভাগেও সীমিত পরিসরে চলছে বাস।
খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. নূরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, বাস শ্রমিকদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি, আলোচনা হয়েছে ট্রাক শ্রমিক ও মালিকদের সঙ্গে। তাই সকাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন মালিক ও চালকেরা।
আজ বৃহস্পতিবার ও কাল শুক্রবার ঢাকায় শ্রমিক ফেডারেশনের বৈঠক আছে, ওই বৈঠকেই মূলত পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত হবে।
নড়াইল: নড়াইলে ৪র্থ দিনের মতো বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকাল থেকে নড়াইলের কোনো বাস ছাড়েনি।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নড়াইল জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় বলেন, বাস ধর্মঘট অব্যাহত আছে। আমরা এখনো ঢাকায় আছি। বেলা ১১টায় এ বিষয়ে বৈঠকে বসব। পরে সিদ্ধান্ত জানাবো।
উল্লেখ্য, নতুন সড়ক পরিবহন আইন সংশোধেনের দাবিতে নড়াইল-যশোর, খুলনা, নড়াইল-লোহাগড়াসহ অভ্যন্তরীণ সব রুটে গত রোববার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। এরপর একই দাবিতে দেশের বিভিন্ন জেলায় পরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেন শ্রমিকরা।

