শিরোনাম :

  • বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫

বামসাএ'র সাংবাদিক সমাবেশ

গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে

রুহুল আমিন গাজী

নিজস্ব প্রতিবেদক : গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার স্বার্থে অবিলম্বে অন্যায়ভাবে কারাবন্দী বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃশর্তভাবে মুক্তি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক এসোসিয়েশন (বামসাএ)’র উদ্যোগে মঙ্গলবার ( ২৬ নভেম্বর) বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের অডিটরিয়ামে আয়োজিত সাংবাদিক সমাবেশে নেতারা এ দাবি জানান ।

এম আবদুল্লাহ

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)’র সভাপতি রুহুল আমিন গাজী। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন ইবনে মঈন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)’র মহাসচিব এম. আবদুল্লাহ, সিনিয়র সহ সভাপতি নুরুল আমিন রোকন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম।

কাদের গনি চৌধুরী

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ডিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার, জনকল্যাণ সম্পাদক খন্দকার আলমগীর হোসেন, নির্বাহী সদস্য এইচ এম আল-আমীন, বামসাএ’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ভিপি সরকার মিজানুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান এ কে এম মহসিন, আলী মুর্তজা, ওয়াসিউর রহমান মন্টু, যুগ্ম মহাসচিব এরশাদুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব আলী হোসেন ফরায়েজী, প্রচার সচিব রফিকুল ইসলাম দুলাল, মো. জসীম উদ্দিন, আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের মহাসচিব মুহাম্মদ আবু হানিফ।

শহীদুল ইসলাম

প্রধান অতিথি রুহুল আমিন গাজী বলেন, দেশের মানুষের এখন দুটি দাবি। ফ্যাসিবাদ, দখলদার, গণতন্ত্র হরণকারী সরকারের পদত্যাগ ও ১৬ কোটি মানুষের হৃদয়ের নেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি। ভোট ডাকাত, ব্যাংক ডাকাতির সরকার জনগণের সমর্থন ছাড়া দেশ চালাচ্ছে। সেটি আমাদের দেশ ছাড়া বিশ্বের কোন দেশে নেই। এদেশের বিচার ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে। বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। ন্যায়বিচার ও সংবাদপত্রের স্বাধীনাতা নেই। পেঁয়াজ, লবন, চাল-ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের উর্ধ্বগতি রেকর্ড পরিমান। উন্নয়নের নামে লাগামহীন লুটপাট চলছে। দৃশ্যমান দু’একটি প্রজেক্ট ছাড়া দুর্নীতির হরিলুট চলছে। এ অবস্থা চলতে পারে না। মানুষকে তার অধিকারের জন্য রুখে দাঁড়াতে হবে। মানুষের অধিকার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতন ও খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএফইউজে মহাসচিব এম. আবদুল্লাহ বলেন, বর্তমান সরকারের দুঃশাসনে সাংবাদিক হত্যার বিচার হয়নি, সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা মামলা এবং সাংবাদিক সমাজের অভিভাবক বামসাএ’র প্রধান উপদেষ্টা শওকত মাহমুদের নামে শতাধিক মামলা, আমার দেশ সম্পাদকের নামে মিথ্যা মামলা ও শারিরীক নির্যাতনের বিচার আমরা পায়নি। বরং মিথ্যা মামলায় তাকে হয়রানি করা হচ্ছে। এসকল মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও সকল বন্ধ গণমাধ্যম খুলতে এবং হাজারো সাংবাদিকের বেকারত্ব গুছাতে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির কোন বিকল্প নাই।

ডিইউজে সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী বলেন, জনগণ ও গণতন্ত্রকে জিম্মি করে অধিকার হরণ করে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমন করতেই বেগম খালেদা জিয়াকে আদালত ব্যবহার করে বন্দী করে রাখা হয়েছে। দেশের মানুষকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে। আজ সীমাহীন কষ্টের মধ্যে রয়েছে এদেশের জনগণ। এ থেকে উত্তরণ করতে হবে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।

ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, জনগণের সাথে আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং মানুষের ভোটাধিকার, মুক্তি, সামাজিক নিরাপত্তার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।