আইটিডি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে চবির সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে ১৭ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন
টিকিটের দাবিতে কারওয়ান বাজারে সড়ক অবরোধ করে প্রবাসীদের ফের বিক্ষোভ
নিজস্ব প্রতিবেদক |
সৌদি আরবে যেতে উড়োজাহাজের টিকিটের দাবিতে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন প্রবাসীরা। তারা বলছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সৌদি আরবে যেতে না পারলে তাদের চাকরি হারাতে হবে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে সড়ক অবরোধ করেন তারা। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এর আগে, সোমবার কারওয়ান বাজার ও মতিঝিলে বিক্ষোভ করেন সৌদি আরব থেকে ছুটিতে দেশে এসে আটকে পড়া প্রবাসীরা।
সকাল ১০টার দিকে কারওয়ান বাজারে সৌদি এয়ারলাইনসের বুকিং কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন সৌদিপ্রবাসীরা। দুপুর ১২টার পর তারা সড়ক থেকে সরে যান। পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া রাকিবুল ইসলাম নামে একজন বলেন, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আমার সৌদি আরবে যেতে হবে। না হলে চাকরি থাকবে না। আমার রিটার্ন টিকিটও ছিল। কিন্তু সৌদি এয়ারলাইনস এখন বলছে, এই সময়ের মধ্যে টিকিট দিতে পারবে না।
জানা গেছে, শর্ত সাপেক্ষে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর অনুমতি দেয় সৌদি আরব সরকার। এরপর সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনস বাংলাদেশে বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনার জন্য বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কাছে অনুমতি চায়। একইভাবে বিমানও বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনা করতে সৌদি অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চায়।
বেবিচক সৌদি এয়ারলাইনসকে সপ্তাহে দুটি ফ্লাইট চালানোর অনুমতি দিলেও বিমানকে অনুমতি দেয়নি সৌদি কর্তৃপক্ষ। এর ফলে সৌদি এয়ারলাইনসের অনুমতি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় বেবিচক।
এ সিদ্ধান্তের খবরে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সৌদি প্রবাসীরা। সোমবার এর প্রতিবাদে মতিঝিলে বিমান অফিসে গিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। কেউ কেউ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ করেন।
সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সের অফিসে শনিবার থেকেই টিকিটের জন্য ঘুরছেন প্রবাসীরা। তাদের অভিযোগ, লাইনে দাঁড়ালেও টিকিট দিচ্ছে না সাউদিয়া। রিটার্ন টিকিট থাকার পরও অতিরিক্ত ২৫ হাজার টাকা রিইস্যু করতে নিচ্ছে এয়ারলাইনসটি। একইসঙ্গে টিকিট বিক্রি করছে ৯৫ হাজার টাকায়।
বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মহিবুল হক বলেন, আমরা সৌদিপ্রবাসীদের ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করতে বলেছি। আর সৌদি এয়ারলাইনস যদি আমাদের কাছে ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়ানোর আবেদন করে, তবে আমরা তা দিয়ে দেব। তারা ফ্লাইট বাড়ানোর আবেদনই করেনি। বিমান আটটি ফ্লাইট পরিচালনার জন্য প্রস্তুত আছে। তবে বিমানকে সৌদি কর্তৃপক্ষ ল্যান্ডিং পারমিশন দেয়নি।