আইটিডি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে চবির সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে ১৭ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন
রিজার্ভ কমে ১৬ বিলিয়ন ডলারের নিচে দাঁড়িয়েছে
অর্থনৈতিক প্রতিবেদক: দেশে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ কমে গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সূত্রে জানা গেছে, ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ এখন ১৬ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের কম। তবে এর পুরোটা ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুযায়ী, রিজার্ভের পরিমাণ ১ হাজার ৯৫২ কোটি ডলার (১৯ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার)। গত বুধবার ওয়েবসাইটে এই তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এই অর্থের পুরোটা ব্যবহারযোগ্য নয়। আইএমএফও সঠিকভাবে রিজার্ভের হিসাবায়ন করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে পরামর্শ দিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, দেশের ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ এখন ১৬ বিলিয়ন ডলারের কম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশ করা তথ্যে জানানো হয়েছে, গত বুধবার পর্যন্ত বিপিএম৬ অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ১৯ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার। সেদিন মোট রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার। গত সপ্তাহে রিজার্ভ ২৫ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে গেলেও বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বেড়ে যাওয়ায় তা আবার বেড়ে ২৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। কারণ হিসেবে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের অর্থ বিদেশে বিভিন্ন বন্ড, মুদ্রা ও স্বর্ণে বিনিয়োগ করে রেখেছে।
২০০১-২০০২ অর্থবছর পর্যন্ত রিজার্ভ ২ বিলিয়ন ডলারের (২০০ কোটি ডলার) স্তর ছুঁতে পারেনি। তবে এরপর ধীরে ধীরে রিজার্ভ বাড়তে থাকে। ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে বৈশ্বিক মন্দা হলে রিজার্ভ সাত বিলিয়ন থেকে কমে পাঁচ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে।
বিপিএম৬ অনুযায়ী, রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার দেখানো হলেও দেশের ব্যবহারযোগ্য বা প্রকৃত রিজার্ভ আরও কম। কারণ, ওই রিজার্ভ থেকে আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ২০০ কোটি ডলারের বেশি, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবে থাকা ১০০ কোটি ডলারের বেশি এবং এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন বা আকুর বিল প্রায় ৫০ কোটি ডলার বাদ যাবে। ফলে এসব দায় বাদ দিলে প্রকৃত ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ দাঁড়ায় ১৬ বিলিয়ন ডলারের কিছু কম। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এর মধ্যে আইএমএফের দায় দ্রুত পরিশোধ করার চাপ নেই।
বাংলাদেশে ১৯৯৪-১৯৯৫ অর্থবছরে রিজার্ভ ছিল ৩০০ কোটি ডলার বা ৩ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। ১৯৯৬-৯৭ অর্থবছরে তা ১০০ কোটি বা ১ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। ২০০১-০২ অর্থবছর পর্যন্ত রিজার্ভ ২ বিলিয়ন ডলারের (২০০ কোটি ডলার) স্তর ছুঁতে পারেনি। তবে এরপর ধীরে ধীরে রিজার্ভ বাড়তে থাকে। ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে বৈশ্বিক মন্দা হলে রিজার্ভ সাত বিলিয়ন থেকে কমে পাঁচ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। এরপর তা ধীরে ধীরে বাড়ে এবং কোভিডের কারণে আমদানি কমে প্রবাসী আয়ে বড় উত্থান হলে ২০২১ সালের আগস্টে মোট রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়।