শিরোনাম :

  • বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪

সাংবাদিক ও পেশাজীবীদের মুক্তি না দিলে পরিণাম ভালো হবে না : বিক্ষোভ সমাবেশে বিএফইউজে নেতৃবৃন্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক: কারাবন্দী সাংবাদিক ও পেশাজীবীদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেছেন, একতরফা পাতানো নির্বাচনের পথ নিষ্কণ্টক করতে দেশের রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি সাংবাদিক ও পেশাজীবীদের ওপর সরকার নজীরবিহীন নিপীড়ন চালাচ্ছে। এর পরিণাম ভালো হবে না। কোন পাতানো নির্বাচন করে আর পার পাওয়া যাবে না। গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার সংগ্রামে সাংবাদিক সমাজ তাদের ঐতিহ্য অনুযাযী সর্বাত্মক লড়াই চালিয়ে যাবে।

আজ (২৮ নভেম্বর) মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) আজ বিকেলে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। সংগঠনের সভাপতি এম আবদুল্লাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশ শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল তোপখানা সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এসে শেষ হয়।

নির্বাহী পরিষদ সদস্য জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় সামাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএফইউজে’র মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, সাবেক সহসভাপতি শামসুদ্দিন হারুন, সাবেক সিনিয়র সহকারি মহাসচিব আহমদ মতিউর রহমান, সাংবাদিক ইউনিয়ন গাজীপুর এর সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ, বিএফইউজে’র সাবেক কোষাধ্যক্ষ আসাদুজ্জমান আসাদ, নির্বাহী সদস্য আবদুস সেলিম, কবি রফিক হাসান, ডিইউজে’র সাবেক নেতা বেলায়েত হোসেন, আবদুল হালিম, জেসমিন জুঁই, জসিম মেহেদী, সাংবাদিক নেতা বোরহান উদ্দিন ফয়সাল, মো. শফিকুল ইসলাম সাদ্দাম প্রমুখ।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিএফইউজে’র কাউন্সিলর শিকদার আলমগীর, আক্তারুজ্জমান রকি, এম সামাদ মতিন, মিয়া আবদুল হান্নান, রাসেল আহমেদ, নুরুল আফসার, মো. মোশাররফ হোসেন, ডিইউজে’র সাবেক নেতা এস এম আলমগীর, মর্তুজা সাঈদ টিসু, গোলাম মাওলা মুন্না প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে বিএফইউজে সভাপতি এম আবদুল্লাহ বলেন, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সরকার আরেকটি তামাশা শুরু করেছে। আর সেই তামাশা প্রতিহত করতে আন্দোলনরত সাংবাদিক ও পেশাজীবীদের ওপর তারা নিপীড়ন চালাচ্ছে। সর্বশেষ সাংবাদিক ইউনিয়ন গাজীপুরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক লিটনকে গ্রেফতার করে বানোয়াট নাশকতা মামলায় কারাগারে নিক্ষেপ করেছে। পেশাজীবী নেতা রফিকুল ইসলাম বাচ্চু ও জাকির হোসেনকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে।

তিনি বলেন, এ সরকার সাংবাদিক নিপীড়ক সরকার। গত ১৫ বছরে অর্ধশতাধিক সাংবাদিক খুন হলেও কোনটির তদন্ত ও বিচার হয়নি। প্রতিমাসে গড়ে ২৫ জন সাংবাদিক নির্যাতিত হচ্ছেন। সর্বশেষ সাংবাদিক রফিক ভুঁইয়া পুলিশের টিয়ার শেলে আহত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেণ। এর বিচার একদিন সাংবাদিক সমাজ করবে।

মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন বলেন, একে একে জনপ্রিয় গণমাধ্যম বন্ধ করে, সাংবাদিক নির্যাতন করে সরকার নিজেকে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের শত্রু হিসেবে প্রমাণ করেছে। আওয়ামীলীগ কখনোই সাংবাদিকতার স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। তিনি বলেন, একতরফা নির্বাচনের যে খেলা সরকার শুরু করেছ তা এবার তাদের জন্যে ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে।