এবার সতর্ক খ্রিস্টানরা, প্রাক-বড়দিনের অনুষ্ঠানও পরিবর্তন

3829935294_0ee3dc9fcc3দেশনিউজ.নেট: খ্রিস্টান ধর্মের যাজকেরা বলছেন, বড়দিনের আগের সন্ধ্যায় গির্জার আনুষ্ঠানিকতার সময়সূচি তারা প্রশাসনের পরামর্শে এবং নিজেদের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে এগিয়ে এনেছেন। গির্জাগুলোতে বৃহস্পতিবার রাতে খ্রিস্ট-যাগ বা প্রাক বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতা হবার কথা। কিন্তু বাংলাদেশে বিভিন্ন স্থানে পাদ্রীদের ওপর হামলার হুমকি দেয়ার খবর বের হবার প্রেক্ষাপটে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
খবরে জানা যাচ্ছে, বুধবার পর্যন্ত বাংলাদেশের ঢাকা, সিলেট ও শ্রীমঙ্গলে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নেতা, গির্জার বিশপ ও যাজকদের মোবাইল ফোনে হুমকি সম্বলিত এসএমএস এসেছে। দিনাজপুরের একটি গির্জার যাজক সিলাস কুজুক বিবিসিকে বলেন, “সচরাচর আমরা খ্রিস্ট-যাগ রাত আটটা থেকে নয়টার দিকে করি। কিন্তু এবারের বড়দিনে ২৪ তারিখের খ্রিস্ট-যাগ আমরা বিকেল সাড়ে চারটার দিকে করছি। ৫টার মধ্যে এটা শেষ হয়ে যাবে।”

“আমরা নিজেরাই একটু সতর্ক হচ্ছি। যেহেতু এখানে যাজকদের  হুমকি, এজন্য আমরা চিন্তা করেছি এবং জনগণের মতামত নিয়েছি। আমি নিজেও জনগণের সঙ্গে বসেছিলাম। তারাও বলেছেন, ফাদার এবার আমরা একটু আগে করবো। যেহেতু তাদের মধ্যে একটা ভয় কাজ করছে, এজন্য এটা হতে পারে।” বলছিলেন কুজুক।
তিনি উল্লেখ করছিলেন, খ্রিস্ট-যাগই বড়দিন উপলক্ষে গির্জার মূল আনুষ্ঠানিকতা। জানা যাচ্ছে, এবছর বড়দিনে গির্জাগুলোতে এবং খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।

নিরাপত্তা প্রশ্নে যাজকদের বিশেষ নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। যাজক কুজুক বলছেন, “যেগুলো বড় গির্জাঘর সেখানে স্থায়ী পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ওনারা বলছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কোথাও দুজন, কোথাও তিনজন, কোথাও চারজন পুলিশ মোতায়েন থাকবে। গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও সাদা পোশাকে থাকবে।” –বিবিসি

Print Friendly, PDF & Email