এবার ওসিসহ তিন সহযোগী মিলে নারীর শ্লীলতাহানি, বাঁধা দেয়ায় ভাই-বাবাকে মারধর

1নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) পাহাড়তলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রনজিৎ বড়ুয়াসহ তিন জনের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও মারধরের অভিযোগে আদালতে মামলা করেছেন এক নারী। সোমবার দুপুর একটার দিকে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম রহমত আলীর আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন পাহাড়তলী এলাকার বাসিন্দা নুর নাহার দুলি নামে এক নারী। পাহাড়তলী থানার ওসি রনজিত বড়ুয়া ছাড়াও মামলার অন্য দুই আসামিরা হলেন- পাহাড়তলীর বাসিন্দা সুলতান আহমদ ও ইমতিয়াজ আহমদ।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) মুত্তাকী ইবনু মিনান, ওসিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে অতিরক্ত পুলিশ সুপারের নিচে নয় এমন কর্মকর্তা দিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী নুর জাহান আক্তার জুলি আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩২৩,৩৫৪, ৪২৭, ৪৫২, ৪৪৭, ৪৪৮, ৫০৬ ও ১০৯ ধারায় অভিযোগ এনেছেন।

মামলার আরজিতে বাদী উল্লেখ করেন, গত ১৪ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে তার শ্লীলতহানি করে এবং মারধরের পাশপাশি হত্যার হুমকি প্রদান করে। এর আগে গত মাসে আসামি সুলতান আহমেদ ও ইমতিয়াজের সাথে বাদীর পরিবারের বিরোধের জেরে আদালতে দুটি মামালা দায়ের হলে আদালত পাহাড়তলী থানার ওসিকে তদন্ত করে আইগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।

তবে ওসি আদালতের নির্দেশ পেয়ে তদন্ত না করে আসামির পক্ষ হয়ে আদালত গিয়ে মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি ধামকি দিতে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৪ জানুয়ারি বিকেলে বাদির বাড়িতে গিয়ে আসামি ওসি রণজিৎ বড়ুয়া পাঁচজন পুলিশ সদস্য নিয়ে বাদিকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য তার পরিবারকে গালিগালাজ করতে থাকনে। এসময় পুলিশের সাথে যোগদেন অন্য দুই আসামি সুলতান ও ইমতিয়াজও। এসময় এই দুই আসামি বাদির ঘরে ব্যাপক ভাঙচুর করে প্রায় ২০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করেন।

বাদী ওসির বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ করেন, ‘আসামি রণজিৎ বড়ুয়া বাদিীজুলির গালে ৬ সজোরে কয়েকটি থাপ্পড় মারলে তার নাক ফুল পড়ে যায়। এসময় ওসি বাদীর তলপেটে বুটজুতা দিয়ে লাথি মারলে বাদী সিজার অপারেশন হওয়ায় সেটি মারাত্মকভাবে জখম হয়।

এমনকি বাদী জুলির স্বামী বিদেশে থাকার সুযোগে ওসি রণজিৎ বড়ুয়া তার পরনের শাড়ি ও ব্লাউজ ধরে টানা হেঁচড়া করে শ্লীলতহানি করেন। এসময় বাদীর ভাই ও পিতা এগিয়ে গেলে তাদেরও পুলিশ সদস্যদের সহায়তায় ওসি মারধর করেন।’

এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে পাহাড়তলী থানার ওসি রনজিত বড়ুয়া বলেন, ‘মহিলা যে অভিযোগ এনেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। থানায় দায়ের করা দুই পক্ষের মামলা নিয়ে অসন্তুষ্ট হয়ে এ মহিলা আদালতে আমার নামে অভিযোগ দিয়েছে।’

Print Friendly, PDF & Email