• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

খালেদার রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় একরাতেই আমাকে ১০ বার হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে : দাবি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

00001নিজস্ব প্রতিবেদকঃ শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে ১০ বার হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হওয়ায় এই হুমকি পেয়েছেন বলে তিনি নিজেই জানিয়েছেন। শনিবার দুপুরে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জানান।

আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘আপনারা খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করেছেন বলে গতকাল সন্ধ্যা থেকে আজ সকাল পর্যন্ত আমাকে ১০ বার হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।’

সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো দলকে নিস্ক্রিয় করা বা নিবৃত করা বা নিশ্চিহ্ন করা আওয়ামী লীগের কর্ম নয়। আওয়ামী লীগ সব সময় সবাইকে নিয়ে রাজনীতি করে। আওয়ামী লীগ সব সময়ই গণতন্ত্রের ওপর আস্থাশীল। আপনারা দেখেছেন, শুধু বিএনপি নয়, ২০ দলীয় জোট কীভাবে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, কীভাবে তারা জ্বালাও পোড়াও করেছে। এত মানুষ হত্যা করেছে, এত সম্পদ ধবংস করেছে, এত মানুষকে পুড়িয়েছে। সেগুলোর মামলা তো হবেই। এতে যদি তারা মনে করে তাদের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। তারা যখন অপকর্মগুলো করেছিল, তখন তো তারা জনগণকে জিজ্ঞেস করেনি, আমরা অপকর্ম করতে যাচ্ছি আমাদের সমর্থন দিও। জনগণ কখনো দুষ্কর্মকে সমর্থন করে না। জনগণ আওয়ামী লীগের সঙ্গে, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সঙ্গে আছে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “শুধু রিজভী সাহেব কেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে কত লোক মারা গেছেন তাঁর কোনো হিসাব নেই। খামোখাই একটা ফিগার (সংখ্যা) বলছে।’ উনি তো যুদ্ধ করেননি। আমরা করেছি। আমরা ফেস টু ফেস (মুখোমুখি) যুদ্ধ করেছি। তিনি তো ক্যান্টনমেন্টে ছিলেন। আপনারা সবাই জানেন। কাজেই কতজন মারা গেছেন। ওনার তো দেখারও কথা নয়, জানারও কথা নয়। একটি শিশুকেও যদি জিজ্ঞেস করেন বাংলাদেশে শহীদ হয়েছিল কতজন। শিশুটিও উত্তর দিয়ে দেবে যে এত লোক মারা গেছেন। কারণ এটি সর্বজনস্বীকৃত। তার ওপর তিনি আঘাত হেনেছেন। তার মানে তিনি মুক্তিযুদ্ধের ওপর আঘাত হেনেছেন।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্য প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁর (খালেদা জিয়া) সঙ্গেই সুর মিলিয়ে রিজভীসাহেব বলেছেন, বঙ্গবন্ধু নিজেই নিজেই হয়ে গেছেন। বিএনপি কী বলল, চেয়ারম্যান কী বললো, রিজভী সাহেব কী বলল-এগুলো নিয়ে বাংলাদেশের মানুষ চিন্তাভাবনা করে না। বাংলাদেশের মানুষ তাঁদের প্রত্যাখ্যান করেছে।’

সভায় জেলা প্রশাসক সাবিনা আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য মো. আবু জাহির, সংসদ সদস্য মাহবুব আলী, সংসদ সদস্য এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু, পুলিশের সিলেট রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. মিজানুর রহমান, হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্র প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email