মন্ত্রিসভা ছাড়ার পক্ষে জাপা প্রেসিডিয়ামে ‘ঐকমত্য’

11নিজস্ব প্রতিবেদক: রওশনপন্থীদের অনুপস্থিতিতেই মন্ত্রিপরিষদ ছাড়ার বিষয়ে দলের প্রসিডিয়াম সদস্যরা একমত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) কো- চেয়ারম্যান জি এম কাদের।

তিনি বলেন, ‘আজকের বৈঠকে প্রেসিডিয়াম সদস্যরা সরকার থেকে বেরিয়ে আসার পক্ষে মত দিয়েছেন। তারা বলেছেন, এ দলের চেয়ারম্যান যথাসময়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’

রবিবার জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্যদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এরশাদের বনানীর রাজনৈতিক কার্যালয় রজনীগন্ধাতে দুপুর ১২টায় শুরু হয়ে বৈঠক চলে দুইটা পর্যন্ত।
এছাড়াও বৈঠকে জাতীয় পার্টির (জাপা) কো-চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদের ও মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারকে অনুমোদন দিয়েছে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্যরা।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তবে এতে প্রেসিডিয়াম সদস্য রওশন এরশাদ উপস্থিত ছিলেন না।

রওশন ছাড়াও পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গাসহ সম্প্রতি মহাসচিবের পদ থেকে ছিটকে পড়া জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ, তাজুল ইসলাম চৌধুরী ও কাজী ফিরোজ রশিদের মতো জ্যেষ্ঠ প্রেসিডিয়াম সদস্যরা এ বৈঠকে ছিলেন না।

প্রসিডিয়ামদের সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলন হয়। এতে এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, জি এম কাদেরসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, সভায় জাপার ৩৪ জন প্রেসিডিয়াম সদস্যের মধ্যে ২৪ জন উপস্থিত ছিলেন। তারা নতুন কো-চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

‘আগামী ১৬ এপ্রিল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় পার্টির জাতীয় সম্মেলন হবে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলাভিত্তিক মনিটরিং সেল গঠন করা হবে। এরপর জেলা ও উপজেলা সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে ঢাকায় সভা করা হবে,’ বৈঠকে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন রুহুল আমিন হাওলাদার।

রওশন এরাশাদসহ দলের অন্য প্রসিডিয়াম সদস্যদের অনুপস্থিতি সম্পর্কে জি এম কাদের আরো বলেন, ‘৩৪ জন সদস্যের মধ্যে ২৪ জন এসেছেন। রওশন এরশাদের নিজস্ব কর্মসূচি থাকায় তিনি আসতে পারেননি। অনেকে বিভিন্ন কারণে আসতে পারেননি। এতে বিভেদ বোঝায় না। এরশাদ যেদিকে আছেন, দলও সেদিকে আছে। রওশনও এর বাইরে আছেন, তেমন কথা কখনো বলেননি।’

মন্ত্রিসভা থেকে জাপার বের হয়ে আসার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আজকের বৈঠকে প্রেসিডিয়াম সদস্যরা সরকার থেকে বেরিয়ে আসার পক্ষে মত দিয়েছেন। তারা বলেছেন, এ দলের চেয়ারম্যান যথাসময়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’

জাতীয় পার্টির একজন সাংসদ কিশোরগঞ্জে বলেছেন, সরকারে থেকে জাতীয় পার্টি সুসংগঠিত হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে জি এম কাদের বলেন, ‘এটা তার ব্যক্তিগত মত। জাতীয় পার্টির মূল শক্তি হচ্ছে জনগণ।’

বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন—জাতীয় পার্টির নবনিযুক্ত মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য এম এ সাত্তার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, উত্তরের সভাপতি এস এম ফয়সল চিশতী, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, গোলাম হাবিব দুলাল, এম এ মান্নান, শেখ সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email