শিরোনাম :

  • শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪

ভিডিও ভাইরাল হওয়া সেই সুমি সৌদি পুলিশ হেফাজতে

নিউজ ডেস্ক |

সৌদি আরবে নির্যাতনের শিকার গৃহকর্মী সুমি আক্তারকে তার কর্মস্থল থেকে উদ্ধার করে হেফাজতে নিয়েছে সেখানকার পুলিশ।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে তাকে জেদ্দার দক্ষিণ-দক্ষিণে নাজরান এলাকার কর্মস্থল থেকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের এক কর্মকর্তা। 

php glass

এর আগে রাতে এ বিষয়ে সুমির স্বামী নুরুল ইসলাম বলেন, আমার সঙ্গে আজ দুপুরে একবার কথা হয়েছে সুমির। সে সময় সুমি বলেছে, তাকে নেওয়ার জন্য সৌদি পুলিশ আসবে। পরে রাতে ৮টার দিকে আবার কথা হলে সুমি জানায়, কিছু সময়ের মধ্যে পুলিশ এসে আমাকে নিয়ে যাবে। এখন আর ফোন দিয়েন না।

ksrm

কনস্যুলেটের ওই কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সুমিকে থানায় নিয়ে আসা হলেও তার এখানকার নিয়োগকর্তা (কফিল) তাকে ছাড়তে চাইছেন না। তিনি বলছেন, তিনি সুমিকে আরও রাখতে চান। কারণ এখানে সুমিকে আনতে তার প্রায় তিন লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে, এই টাকা সেবায় শোধ হয়নি। সুমিকে ছাড়তে হলে যারা বাংলাদেশ থেকে মধ্যস্থতা করে (রূপসী বাংলা ওভারসিজ) তাকে সেখানে পাঠিয়েছে, তাদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করে দিতে হবে সৌদির কফিলকে।

ওই কর্মকর্তা আরও জানান, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠাবে কনস্যুলেট।

গত ৩০ মে সুমি ‘রূপসী বাংলা ওভারসিজ’র মাধ্যমে সৌদি আরব যান। সেখানে যাওয়ার পর থেকেই স্বজনদের কাছে তার ওপর নির্যাতনের ঘটনা বলতেন সুমি। দালালরা বিদেশে পাঠানোর কথা বলে তাকে যে বিক্রি করে দিয়েছে সে কথা জানতেন না সুমি। সৌদি যাওয়ার সপ্তাহখানেক পর থেকে শুরু হয় তার ওপর মারধর, যৌন হয়রানিসহ নানা নির্যাতন।

সম্প্রতি ফেসবুকে কান্নাজড়িত কণ্ঠে নিজের ওপর পাশবিক নির্যাতনের কথা বলে সুমি তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানান। পরে ভিডিওটি ভাইরাল হয়। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয় বাংলাদেশের গণমাধ্যমে ।

সংবাদটি দেখার পর সুমি আক্তারকে ফেরাতে ততপর হয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় । এরপরই তাকে হেফাজতে আনার প্রক্রিয়ায় যায় সৌদি পুলিশ।

সুমি আক্তার পঞ্চগড় জেলার বোদা সদর থানার রফিকুল ইসলামের মেয়ে। দুই বছর আগে আশুলিয়ার চারাবাগের নুরুল ইসলামের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।

সুমির ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর নুরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, আমার স্ত্রীকে অনেক নির্যাতন করা হয়েছে। তার চোখে আঘাত করা হয়েছে, চোখে দেখতে পারছে না। এজন্য আমি থানায় মামলা করেছি এবং বিভিন্ন জায়গায় কাগজপত্র দিয়েছি। আমার একটাই দাবি আমার স্ত্রীকে বাংলাদেশে দেখতে চাই।