ফ্যাসিবাদী রাজনীতি নিষিদ্ধে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার আহ্বান বিশিষ্টজনের
নিউইয়র্কের বনফুল গ্রোসারিতে ডাকাতি, এক দুর্বৃত্তের ১৫ বছর জেল
নিউইয়র্ক প্রতিনিধি : নিউইয়র্কে বাংলাদেশী অধ্যুষিত এস্টোরিয়ার ৩৬ এভিনিউর ‘বনফুল গ্রোসরী’তে চা ল্যকর ডাকাতির ঘটনায় এক দূর্বত্তের ১৫ বছরের জেল দিয়েছে কুইন্স সুপ্রীম কোর্ট। এই ঘটনায় আরো দু’জনের বিরুদ্ধে সেকেন্ডে ডিগ্রি চার্জ আনা হয়েছে। গ্রোসারীর ভিডিও ক্যামেরা ফুটেজ দেখে নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ অপরাধীদের সনাক্ত ও গ্রেফতার করে। ওই ঘটনায় ব্রঙ্কসের বাসিন্দা আসামী হান্নিবল আলী নামের এক দূর্বৃত্তের বিরুদ্ধে ‘ফার্ষ্ট ডিগ্রি’ অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক জোয়ান ওয়াটার্স তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ১৫ বছরের জেল দিয়েছেন। কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট এ্যাটর্নি অফিস এই রায়ের খবর জানিয়েছে। খবর ইউএনএ’র।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশী অধ্যুষিত লং আইল্যান্ড সিটিতে বাংলাদেশী মালিকানাধীন গ্রোসারী স্টোর ‘বনফুল গ্রোসারী’-তে গত বছরের ১৭ নভেম্বর শনিবার ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এতে মোহাম্মদ রাসেল নামে একজন বাংলাদেশী গুলিবিদ্ধ হন। তিনি ডাকাতদের ধাওয়া করতে গেলে পলায়রত একজন তার পায়ে গুলি করে। ঘটনাটি কমিউনিটিতে ব্যাপক চা ল্যের সৃষ্টি করে। বনফুল গ্রোসারী বাংলাদেশী মালিকানাধীন পুরনো একটি গ্রোসারী প্রতিষ্ঠান। এই গ্রোসারীর সামনেই ৩৬ এভিনিউর উপর সবার পরিচিত আলাদীন ও বৈশাখী রেষ্টুরেন্ট সহ আরো একাধিক বাংলাদেশী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আরো উল্লেখ্য, বনফুল গ্রোসারীতে ডাকাতির ঘটনায় গুলিবিদ্ধ মোহাম্মদ রাসেল পরবর্তীতে এলমহার্স্ট হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। বর্তমানে সে সম্পূর্ণ সুস্থ্য।
জানা যায়, বনফুল গ্রোসারীতে ঘটনার দিন শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে হান্নিবল আলীসহ ৩ মুখোশধারী দূর্বৃত্ত গ্রোসারীতে হানা দেয়। তাদের দু’জন প্রথমে গ্রোসারীতে প্রবেশ করে একজন নিজেকে পুলিশের লোক বলে পরিচয় দেয় এবং জাল ডলার রয়েছে বলে অভিযোগ তোলে। এরপর একজন ক্যাশ রেজিষ্টারে থাকা জাকারিয়া হোসেন শিবলু নামের একজনকে আঘাত করে ক্যাশ রেজিষ্টারে হানা দেয় এবং অপর দু’জন ভিতরে-বাইরে পজিশন নেয়। পরে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে তারা রেজিষ্টারের ক্যাশে রাখা অর্থ নিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় গ্রোসারীতে আসা ক্রেতারা ভয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। সেই সাথে বাইরেও ছুটাছুটি শুরু হয়। ওই ঘটনার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিশ আসামীদের শনাক্ত করে এবং প্রায় এক বছরের আইনী প্রক্রিয়া শেষে ডাকাতির মূল পরিকল্পনাকারী হান্নিবল আলীকে ফার্ষ্ট ডিগ্রি এবং সহযোগী দু’জনের বিরুদ্ধে সেকেন্ডে ডিগ্রি চার্জ আনে কুইন্স সুপ্রীম কোর্ট।
এদিকে বনফুল গ্রোসারীতে ডাকাতির ঘটনার পর কমিউনিটির উদ্যোগে গ্রোসারীর সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ থেকে ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তি দাবী করা হয়। এই সমাবেশের অন্যতম আয়োজক ও সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বপালনকালী জাবেদ উদ্দিন উপরোক্ত রায়ে স্বস্তি প্রকাশ করে সংশ্লিস্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেছেন, আমরা বাংলাদেশী কমিউনিটির সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে যেকোন সমস্যায় ভালো ফল পাবো ইনশাল্লাহ।