শিরোনাম :

  • সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ দেখা গেছে, কাল থেকে রমজান শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক |

আজ শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দেশের আকাশে রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে মুসলমানদের সিয়াম সাধনার (রোজা) মাস পবিত্র রমজান শুরু হচ্ছে শনিবার (২৫ এপ্রিল)। চাঁদ দেখা যাওয়ায় আগামী ২০ মে বুধবার দিবাগত রাতে পবিত্র লাইলাতুল কদর পালিত হবে।

রাজধানীর বায়তুল মুকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও চাঁদ দেখা কমিটির সদস্য মো. নুরুল ইসলাম।

রমজান মাস শেষেই আসবে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। এবার ২৯ দিনেই শেষ হলো শাবান মাস।

সভায় সচিব জানান, সকল জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, আবহাওয়া অধিদফতর, মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের আকাশে হিজরি ১৪৪১ সনের রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। শনিবার থেকে রমজান মাস শুরু হচ্ছে।

আগামী ২০ মে বুধবার দিবাগত রাতে (রমজানের ২৭তম রাত) পবিত্র লাইলাতুল কদর পালিত হবে বলেও জানান তিনি।

আজ রাতেই (এশার নামাজের পর) ২০ রাকাত তারাবির নামাজ শুরু হবে। রোজা রাখতে শেষ রাতে সেহরি খাবেন মুসলমানরা। ঢাকায় প্রথম দিন সেহরির শেষ সময় রাত ৪টা ৫ মিনিট। প্রথম রোজার ইফতারের সময় ৬টা ২৮ মিনিট।

ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে রমজান সংযম, আত্মশুদ্ধি এবং ত্যাগের মাস। রমজান রহমত (আল্লাহর অনুগ্রহ), মাগফেরাত (ক্ষমা) ও নাজাত (দোজখের আগুন থেকে মুক্তি)- এ তিন অংশে বিভক্ত। এ মাসে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার, স্ত্রী-সহবাস ও যেকোনো ধরনের পাপ কাজ থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে রোজা পালন করেন মুসলমানরা।

এ মাসের শেষ অংশে রয়েছে হাজার মাসের এবাদতের চেয়েও উত্তম লাইলাতুল কদর। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী, রমজান মাসে প্রতিটি নেক আমলের সওয়াব আল্লাহ পাক ৭০ গুন বাড়িয়ে দেন।

অপরদিকে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে শুক্রবার থেকে রমজান শুরু হয়েছে।

পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তাই মসজিদে গিয়ে পাঁচ ওয়াক্ত ও জুমার নামাজের মতো তারাবির নামাজ পড়ার ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পবিত্র রমজান মাসে এশারের জামাত ও তারাবি নামাজে ইমাম, মুয়াজ্জিন, খতিব, খাদেম ও ২ জন হাফেজসহ সর্বোচ্চ ১২ জন অংশগ্রহণ করতে পারবেন। বাকিদের এ নামাজ ঘরে বসে আদায় করতে হবে।

সরকারি এই নির্দেশনা না মানলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।