শিরোনাম :

  • বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪

মালয়েশিয়ায় সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও গণমাধ্যমের শিরোনাম বাংলাদেশ

শেখ আরিফুজ্জামান, মালয়েশিয়া থেকে |

মালয়েশিয়ায় সপ্তাহের ব্যবধানে এক বাংলাদেশিকে হত্যার ঘটনায় আবারও নতুন করে গণমাধ্যমের শিরোনামে এসেছে বাংলাদেশ।

জানা গেছে, পেনাং রাজ্যের সেবারাং পেরাইয়ের জালান আরা কুডাতে সবজি বাগানে কর্মরত এক বাংলাদেশিকে কে বা কারা হত্যা করে ফেলে রেখে যায়। আর এ ঘটনার অভিযোগ পুলিশ ওই সবজিবাগানে কর্মরত ১২ জন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে।
গত বুধবার সকালে নিহত বাংলাদেশী আব্দুল লতিফের (৫৯) রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে হত্যাকাণ্ডের শিকার বাংলাদেশীর দেশের বাড়ি কোথায় তা জানা যায়নি।

সেবেরাং পেরাই উত্তর জেলা পুলিশ প্রধান (এসপিইউ) সহকারী কমিশনার নূরিকানে মোহাম্মদ নূর বলেন, আটককৃত বাংলাদেশিরা হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশী তদন্তে যানা গেছে। যার ফলে গতকাল বৃহস্পতিবার নিহত আব্দুল লতিফের ১২ জন সহকর্মীকে আটক করা হয়েছে। যাদের বয়স ২৫-৪০ বছরের মধ্যে।

পুলিশ আরো জানায়, নিহতের কপালে, বাম গালে মারাত্মক জখম এবং ডান হাঁটুতে ধারালো কোন ছুরি বা কোদাল দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। লতিফের মরদেহ যেখানে পড়েছিল; সেখান থেকে একটু দূরে একটি গর্ত খননকারী শাবল পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই অস্ত্র দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

ওই এলাকার একজন মালী জানান, খুন হওয়া ব্যক্তিটি গত বুধবার সকাল ৯টার দিকে বাংলাদেশে পরিবারের জন্য টাকা পাঠানোর উদ্দেশ্যে অন্যান্য শ্রমিকদের বেতন আনতে মালিকের বাড়িতে গিয়েছিল। পরে মালিকের কাছ থেকে পাওয়া মালয়েশিয়ান প্রায় হাজার রিঙ্গিত পরিমাণের অর্থ নিয়ে বাসায় চলে যান। এরপরের দিন সকালে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

এদিকে, নিহত লতিফের ব্যক্তিগত ওষুধ, মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ, রিচার্জ কার্ড এবং ৪১৮ রিঙ্গিত নগদ অর্থ একটি প্লাস্টিকের প্যাকেটে পাওয়া গেছে। পুলিশ জানায়, এই ঘটনাটি দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা মোতাবেক তদন্ত করা হচ্ছে। আটক ১২ জন বাংলাদেশীদের প্রত্যেককেই ৭ দিনের রিমান্ডের নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছ পুলিশ।