• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

চার্টার্ড বিমানে দুবাই চলে গেছেন বসুন্ধরা এমডির স্ত্রী সন্তানসহ ৮ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক ◾

মোসারাত জাহান (মুনিয়া) কে আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলার একমাত্র আসামি বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের স্ত্রী-সন্তান ও পরিবারের কয়েক সদস্য দেশ ছেড়েছেন। আনভীরের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার তিন দিনের মাথায় তাঁরা দেশ ছাড়লেন। সায়েম সোবহান আনভীন একই ফ্লাইটে দেশ ছাড়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও ইমিগ্রেশন পুলিশের একটি সূত্র এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেন, বুধবার তাঁরা একটি বিশেষ ফ্লাইটের অনুমতি নিয়েছেন। আজ তাঁদের দেশ ছাড়ার কথা।  

জানা গেছে, ফ্লাইটটি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রাত নয়টা বাজার কয়েক মিনিট আগে রওনা দেয়। স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৮ মিনিটে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

চার্টার্ড ফ্লাইটের সদস্য ছিলেন আটজন। যাত্রী তালিকা অনুযায়ী দেশ ছেড়েছেন সায়েম সোবহান আনভীরের স্ত্রী সাবরিনা সোবহান, তাঁদের দুই সন্তান, ছোট ভাই সাফওয়ান সোবহানের স্ত্রী ইয়াশা সোবহান এবং তাঁদের মেয়ে ও দুই পরিবারের তিনজন গৃহকর্মী ডায়ানা হার্নানডেজ চাকানান্দো, মোহাম্মদ কাদের মীর ও হোসনে আরা খাতুন। এর আগে সায়েম সোবহান আনভীরের ছোট ভাই সাফওয়ান সোবহানও দেশ ছাড়েন।

সোবহান পরিবার কবে দেশে ফিরবে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি। তবে সূত্র জানায়, প্লেনটি মে মাসের ৯ তারিখ পর্যন্ত ভাড়া করা হয়েছে। 

সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে সিঙ্গাপুর থেকে তাদের ভাড়া করা একটি প্লেন ঢাকায় আসে। পরে ভিপিসি-১১ ফ্লাইটে রাত ৮টা ৫৬ মিনিটে ঢাকা থেকে উড়ে যান তারা। 

সূত্র আরও জানায়, রাত ৮টায় তারা বিমানবন্দরে পৌঁছে ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা সারেন। দুবাইয়ে গিয়ে তাদের সবার করোনাভাইরাসের টিকা নেয়ার কথা রয়েছে। 

গত ২৬ এপ্রিল মামলা হওয়ার পর গত ২৭ এপ্রিল পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সায়েম সোবহান আনভীরের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন আদালত। যদিও আনভীর দেশ ছেড়েছেন এমন প্রচার আছে। গতকাল বৃহস্পতিবার গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী সাংবাদিকদের জানান, অভিবাসন কর্তৃপক্ষের ডেটা বেজের তথ্য অনুযায়ী সায়েম সোবহান আনভীর দেশেই আছেন। তিনি দুটি পাসপোর্ট ব্যবহার করেন। কোনোটি ব্যবহার করেই দেশত্যাগের কোনো তথ্য নেই।

Print Friendly, PDF & Email