শিরোনাম :

  • বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

বেতন বৈষম্যঃ ৭ দফা আদায়ে সরকারি কর্মচারীদের আলটিমেটাম

001নিজস্ব প্রতিবেদকঃ অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোয় ক্যাডার-নন ক্যাডার বৈষম্য বাতিল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহালসহ সাত দফা দাবি মেনে নিতে সরকারকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। নইলে লাগাতার কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সরকারি কর্মচারীরা।

শনিবার দুপুরে প্রকৌশলী, কৃষিবিদ, চিকিৎসক, বিভিন্ন ক্যাডার ও ফাংশনাল কর্মকর্তাদের সংগঠন প্রকৃচি-বিসিএস সমন্বয় কমিটি এই সময় বেঁধে দেয়। তারা আজ রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।

সমাবেশ থেকে নতুন বেতন কাঠামোর প্রতিবাদে ২০ থেকে ৩০ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় পর্যায়, বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কালো ব্যাজ ধারণ, ২৩ ডিসেম্বর সারা দেশে মানববন্ধন, ২৪ ডিসেম্বর দাবির সপক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান এবং ২৭ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালনের কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সরকার সাত দফা দাবি মেনে না নিলে ৩০ ডিসেম্বরের পর লাগাতার কর্মবিরতির কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হবে বলেও প্রতিবাদ সমাবেশে জানানো হয়।

প্রকৃচি-বিসিএস সমন্বয় কমিটির দাবিগুলো হলো, বেতন কাঠামোয় সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল পুনর্বহাল করতে হবে; সরকারি প্রথম শ্রেণির চাকরিতে যোগদানের ক্ষেত্রে ক্যাডার ও ননক্যাডারের মধ্যে বৈষম্যের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে; বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি স্থগিতের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে; ইউএনওকে কর্তৃত্ব প্রদানমূলক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অফিস স্মারক অবিলম্বে বাতিল করতে হবে; আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন করতে হবে। সব ক্যাডার ও সার্ভিসে পদোন্নতির সমান সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে সুপারনিউমেরারি পদ সৃজন করতে হবে; নিজস্ব ক্যাডার ও ফাংশনাল সার্ভিসবহির্ভূত সব ধরনের প্রেষণ বাতিল করতে হবে এবং কৃত্য পেশাভিত্তিক প্রশাসন গড়ে তুলতে হবে।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, মেধা ও যোগ্যতার বিচারে নন-ক্যাডার কর্মকর্তারা নিম্নমানের নয়। সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বন্ধ করায় কর্মকর্তাদের মধ্যে মর্যাদাগত ও আর্থিক বৈষম্য সৃষ্টি হবে। এ বেতন কাঠামোর মাধ্যমে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে পদ অবনমন হয়েছে। আগে এ ক্যাডারের কর্মকর্তারা সিলেকশন গ্রেড হিসেবে তৃতীয় গ্রেডে উন্নীত হতেন। জারি করা নতুন বেতন কাঠামোয় সিলেকশন গ্রেড বন্ধ করে দেওয়ায় তাঁদের চতুর্থ গ্রেড থেকে অবসরে যেতে হবে। অথচ শিক্ষা ক্যাডারের সর্বোচ্চ পদ গ্রেড ১-ভুক্ত।