শিরোনাম :

  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

টঙ্গী থেকে আটক

ঢাবি ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে এক সিএনজি চালক!

নিজস্ব প্রতিবেদক |

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় একজন‌কে আটক করেছে র‌্যাব। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে র‌্যাব সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, আটক ব্যক্তি পেশায় একজন সিএনজি চালক। তার বিষয়ে আরও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। সে আগেও এ ধরণের ঘটনায় জড়িত ছিল কিনা, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক আটক!

ধর্ষণের ঘটনাস্থলে পড়েছিল সেই ছাত্রীর বই, ঘড়ি ও ইনহেলার

র‍্যাব জানায়, ছাত্রীর দেওয়া বর্ণনার সঙ্গে আটক ব্যক্তির মিল রয়েছে। ঘটনার সময় আটক ব্যক্তির অবস্থান আর তার দেওয়া তথ্যে বেশ কিছু গরমিল পাওয়া যায়। সে স্বীকার না করলেও তথ্য উপাত্তে প্রায় নিশ্চিত যে, ঘটনার সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।

র‍্যাবের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দুপুরে টঙ্গী থেকে তাকে আটক করা হয়েছে। অত্যন্ত গোপনীয়তা রক্ষা করে তদন্ত করা হচ্ছে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে বুধবার সকালে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।

এর আগে এ বিষয়ে র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল শাফিউল্লাহ বুলবুল জানিয়েছিলেন , ‘আমরা তিন জনকে শনাক্ত করেছি। তারা আমাদের নজরদারিতে রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’ তিনি বলেন, ‘বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকালের মধ্যে যেকোনও সময় তারা গ্রেফতার হবে। তবে এই মুহূর্তে তাদের নাম ঠিকানা প্রকাশ করা যাচ্ছে না।’

র‌্যাবের একটি সূত্র জানায়, যে তিন জন সন্দেহে রয়েছে, তাদের মধ্যে একজন সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক। সে-ই প্রধান ক্রিমিনাল।   
প্রসঙ্গত, রবিবার (৫ জানুয়ারি) বিকাল ৪ টা ৪০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষণিকা বাসে করে ওই ছাত্রী বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে কুর্মিটোলা বাসস্টপেজে নামার পর তাকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি অনুসরণ করতে থাকে। একপর্যায়ে তাকে ফুটপাতের ঝোপে নিয়ে ধর্ষণ করে। রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফিরলে ওই শিক্ষার্থী রিকশায় করে বান্ধবীর বাসায় যান। সেখান থেকে বান্ধবীসহ অন্য সহপাঠীরা তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে ওই ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত করছে।