ফ্যাসিবাদ বিরোধীদের বিভেদ পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসরদের লাভবান করবে – খেলাফত মজলিস
প্রসূতির মৃত্যু: পলাতক সেই ক্লিনিক মালিক ট্রাকচাপায় নিহত
পাবনা প্রতিনিধি |
নিজের ক্লিনিকে অপারেশন চলাকালে প্রসূতিকে মুমূর্ষু অবস্থায় রেখে পালিয়ে গিয়েছিলেন পাবনার চাটমোহরে ইসলামিক হাসপাতালের মালিক আমির হোসেন বাবলু (৫৫)। কিন্তু তারও শেষ রক্ষা হলো না। পলিয়ে থাকাবস্থায় ট্রাকচাপায় তিনিও মারা গেলেন।
রবিবার দিবাগত রাত একটার দিকে ঈশ্বরদী পৌর সদরের বাবুপাড়া এলাকায় রিকশাযোগে শ্বশুড়বাড়িতে ফেরার পথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই মারা যান আমির হোসেন বাবলু।
তিনি চাটমোহর পৌর সদরের আফ্রাত পাড়া মহল্লার তোফাজ্জল সরদারের ছেলে। তার ক্লিনিকে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় চাটমোহর থানায় দায়েরকৃত একটি মামলার আসামি হিসেবে পলাতক ছিলেন তিনি।
ঈশ্বরদী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আরিফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ১১ নভেম্বর সোমবার রাতে আমির হোসেন বাবলুর মালিকানাধীন ‘চাটমোহর ইসলামিক হাসপাতাল’ ক্লিনিকে একজন প্রসূতির অপারেশন চলাকালে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যাওয়ার সময় কথিত চিকিৎসক সাদ্দাম হোসেন নিবির ও আসাদুজ্জামানেক ধরে পুলিশে দেয় এলাকাবাসী। তবে ওই সময় কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন আমির হোসেন বাবলু।
এরপর ১২ নভেম্বর মঙ্গলবার রাতে ওই ঘটনায় মৃত প্রসূতি তাছলিমা খাতুনের বাবা মজনুর রহমান মজনু বাদী হয়ে চাটমোহর থানায় তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন-ক্লিনিক মালিক চাটমোহর পৌর সদরের আফ্রাতপাড়া মহল্লার তোফাজ্জল সরদারের ছেলে আমির হোসেন বাবলু (৫৫), কথিত চিকিৎসক নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার জালোরা গির্জার মোড় এলাকার মো. ময়েজ উদ্দিনের ছেলে সাদ্দাম হোসেন নিবির (২৭) ও কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার গোরুরা দক্ষিণপাড়া এলাকার মো. আজিজুল হকের ছেলে বর্তমানে বড়াইগ্রামের বনপাড়ার বাসিন্দা মো. আসাদুজ্জামান (৩৮)।
পরে পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত দুজনকে পাবনা জেলহাজতে পাঠায়। ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন ক্লিনিক মালিক আমির হোসেন বাবলু।