আইটিডি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে চবির সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে ১৭ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন
ঘাতক স্বামী আটক
ফেনীতে আরেক বর্বরতা, ফেসবুক লাইভে স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা
ফেনী প্রতিনিধি |
ফেনী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বারাহীপুর পূর্ব বাড়িতে ফেসবুক লাইভে এসে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন স্বামী। বুধবারের এ ঘটনায় ঘাতক স্বামী টুটুলকে (৩২) আটক করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নারী এক সন্তানের মা ও কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুণবতি ইউনিয়নের আকদিঢা গ্রামের সাহাবুদ্দিনের মেয়ে। তবে তার নাম এখনও জানা যায়নি।
ফেনী মডেল থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) সাজেদুল ইসলাম জানান, বারাহীপুর থেকে ওই নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার ও নিহতের স্বামীকে আটক করা হয়েছে। এ সময় মোবাইল সেট জব্দ করা হয়েছে।
হত্যার আগে ফেসবুক লাইভে টুটুল ভুইয়া বলেন, ‘প্রিয় দেশবাসী, আমাকে ক্ষমা করে দেবেন, আজকে আমার কারণে আমার পরিবার ধ্বংস। যার কারণে ধ্বংস আজকে তারে আমি এ মুহূর্তে ধ্বংস করে দিলাম। আমি চেষ্টা করছি, অনেক চেষ্টা করছি, পারি নাই।
আল্লাহর ওয়াস্তে সবাই আমাকে মাফ করে দেবেন। আমার এতিম মেয়েটার খেয়াল রাখবেন। আমার ভাইবোনগুলোর খেয়াল রাখিয়েন। আমার পরিবার ভাইবোনগুলার কোনো দোষ নাই। কেউ এটাতে সম্পৃক্ত না। আমি আমার আজকের এ ঘটনার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী।
প্লিজ সবার কাছে আমার একটাই অনুরোধ আমার ভিডিওটা ভাইরাল করেন। যেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর হয়। আর এ ঘটনার জন্য আমিই একমাত্র দায়ী। কেউ না।’
এরপর দা হাতে নিয়ে ছুটে যান টুটুল। এক কোপ, দুই কোপ, তিন কোপ এভাবে ৯টি কোপ দেন স্ত্রীকে। এরপর তার স্ত্রী লুটিয়ে পড়েন মাটিতে।
তবে খুন করার লাইভ ভিডিওটি ঘণ্টাখানেক পর আর টুটুলের প্রোফাইলে পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, টুটুলের প্রোফাইলে লাইভ ভিডিও তারা পায়নি। তবে তার পোস্টগুলো যাচাই-বাছাই চলছে। নিহতের স্বজনরা মামলা করলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
অভিযুক্ত টুটুল ভুইয়ার বাড়ি ফেনী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বারাঈপুর এলাকায়। টুটুল ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে কাজ করেন বলে জানা গেছে। সন্তানদের নিয়ে তার স্ত্রী বাড়িতেই থাকতেন।