এবি পার্টির ইফতারে রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক ও নাগরিক সমাজের সম্মেলন
স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে বাঁশ বাগানে নিয়ে গণধর্ষণ
নড়াইল প্রতিনিধি |
নড়াইলের লোহাগড়ায় এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এক সন্তানের জননী ওই গৃহবধূ বর্তমানে নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এদিকে এ ঘটনায় প্রধান আসামি রিপন মোল্লাকে (৩৫) রবিবার সকালে লোহাগড়া উপজেলার কুমড়ি গ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ।
রিপন কুমড়ি পশ্চিমপাড়ার সবদার মোল্লার ছেলে।
এ মামলায় আরো আসামি করা হয়েছে-কুমড়ি গ্রামের ওহিদুল মোল্লা (২৬) ও পার্শ্ববর্তী তালবাড়িয়া গ্রামের নুরনবী মোল্লাকে (২৫)। এছাড়া অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। শনিবার রাতে ভুক্তভোগী গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
ভুক্তভোগীর বর্ণনাসহ মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূর ব্যক্তিগত সমস্যা মিটিয়ে দেয়ার কথা বলে স্বামীসহ গৃহবধূকে গত ৫ আগস্ট রাতে নড়াইলের কুমড়ি গ্রাম থেকে আসামিরা মোটরসাইকেলে বের হন।
পথে স্বামীকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে মারপিট করে বাঁশবাগানে নিয়ে ওই গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে আসামিরা। গভীর রাতে গৃহবধূকে তাদের বাড়ির পাশে ফেলে যায় তারা। প্রতিবেশিরা উদ্ধার করে তাকে বাড়িতে দিয়ে যান। এ ঘটনা কাউকে জানাতে নিষেধ করে রিপনসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা। এছাড়া মামলা না করার জন্যও হুমকি দেয় তারা।
একপর্যায়ে গত শুক্রবার (৭ আগস্ট) বিকেলে ভুক্তভোগী ওই নারীকে পরিবারের সদস্যরা নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মশিউর রহমান বাবু জানান, ভুক্তভোগী গৃহবধূর আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানার ওসি সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, গণধর্ষণ মামলার আসামি রিপন মোল্লাকে গ্রেফতারের সময় এক হাজার টাকার চারটি জালনোট উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া রিপনের নামে মাদক, হত্যা ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপরাধে লোহাগড়া থানায় ১০টি মামলা রয়েছে। এদিকে গৃহবধূ গণধর্ষণ মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।