যশোর প্রতিনিধিঃ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) কর্মচারীকে মারপিটের জের ধরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্রামবাসীর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় অন্তত ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ক্যাম্পাস এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

ঘটনাস্থল থেকে মোবাইলে একাধিক শিক্ষার্থী জানান, কয়েক দিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী বাদলের ভাই শরীফ দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে। পরে ওই ছাত্রী বিষয়টি বৃহস্পতিবার তার সহপাঠিদের জানায়। বিষয়টি জেনে তার সহপাঠিরা এর প্রতিবাদ করলে শরীফ ক্ষিপ্ত হয়ে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের এক ছাত্রকে মারপিট করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মশিয়ুর রহমান হলের ছাত্ররা সভা করে।

এরপর তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী বাদলকে ডেকে ঘটনার প্রতিবাদ জানায়। এতে বাদল ক্ষিপ্ত হলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত বাদলকে মারপিট করে। এরপর বাদল ফোন করে গ্রামবাসীকে ডেকে আনেন।

বাদলের ফোন পেয়ে স্থানীয় লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে। শিক্ষার্থীরাও সংঘবদ্ধ হয়ে পাল্টা ধাওয়া করে। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অবস্থানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে। এরপর কর্মচারী বাদলের লোকজন বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের ছাত্রবাসেও হানা দেয়। সেখানে গিয়ে তারা শিক্ষার্থীদের মারপিট করে। শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিকদার আক্কাছ আলী ঘটনাস্থল থেকে জানান, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় আহত দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ক্যাম্পাসে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুস সাত্তার বলেন, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় কিছু লোকজনের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।