আইটিডি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে চবির সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে ১৭ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন
‘সুস্থ শৈল্পিক ও নান্দনিক জীবন যাপনে মহানবীর জীবনানুসরণের বিকল্প নেই’
পবিত্র সীরাতুন্নবী স. উপলক্ষে বাংলাদেশ চারুশিল্পী পরিষদ আয়োজিত জাতীয় পোস্টার প্রতিযোগিতা ও প্রদশর্নী উদ্বোধন এবং পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচ্যকলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান ফকির বলেন, মানুষ সুস্থ সুন্দর ও নান্দনিক জীবন যাপনে মহানবী স. এর জীবনাদর্শ অনুসরন করতে হবে। এ জন্য মহানবী চরিত্র আদর্শ আমাদেরকে শিল্পে চর্চা করতে হবে। শিল্পচর্চায় আমরা ক্যালিগ্রাফিকে গুরুত্ব দিয়ে প্রাচ্যকলার সিলেবাসে যুক্ত করেছি এবং আমাদের বাংলা হরফে ক্যালিগ্রাফিকে নান্দনিক চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে। আমাদের আগামী প্রজন্মকে মহানবীর চরিত্র মাধুর্য তুলে ধরতে এ ধরণের আয়োজন ও শিল্পচর্চা এগিয়ে নিতে হবে।
সভাপতি ইব্রাহিম মন্ডল বলেন, নাস্তিক্যবাদী ও সেকুলারবাদী শিক্ষা ব্যাবস্থা বিশ্বাস নীতি নৈতিকতা মানবতা ধ্বংস করে দিচ্ছে , একমাত্র ইসলামী সংস্কৃতিই পারে মানুষের পশু প্রবৃত্তিকে বিনাশ করে সত্তিকারের মানুষ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে।
বিশেষ অতিথির বক্তবে বিশিষ্ট্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ বলেন, আমাদের নব প্রজন্মকে শিল্পের নান্দনিক আবহে রাসুলের প্রেমকে তুলে ধরতে হবে। কালচারাল একাডেমির সভাপতি বিশিষ্ট্য টিভি ব্যক্তিত্ব শরীফ বায়জীদ মাহমুদ বলেন, এ সময়ে আমাদের সন্তানেরা সেলফি কালচারে ডুবে ভবিষ্যত নষ্ট করছে, তাদেরকে এ ধরণের শৈল্পিক আয়োজনে আরো বেশি সম্পৃক্ত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সসাসের সাবেক পরিচালক মোস্তফা মনোয়ার ও কালচারাল একাডেমির এমডি আবেদুর রহমান । অনুষ্ঠানটি উপস্হাপনা করেন শিল্লী হাসনাত আব্দুল কাদের । বাংলাদেশ চারুশিল্পী পরিষদের সেক্রেটারি মোহাম্মদ আবদুর রহীম স্বাগত বক্তব্য দেন। হাফেজ মাওলানা হাসান নাসরুল্লাহর কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
প্রতিযোগিতায় দুটি গ্রুপের তিনটি বিশেষ পুরস্কারসহ মোট ১২টি পুরস্কার দেয়া হয়। ক গ্রুপে প্রথম হয়েছে তাহশীন বিন ইবরাহীম, ৭ম শ্রেনি; দ্বিতীয়- আযীযা তাহসীন, ৪র্থ শ্রেনি; তৃতীয় -রাদিয়া রিনি, ৮ম শ্রেনি; বিশেষ পুরস্কার পেয়েছেন- সানজিদা ইসলাম তাসনুভা, উমারা মারইয়াম ও সামী সাফোয়ান।
খ গ্রুপে প্রথম- সুমাইয়া সুলতালা সালওয়া, দ্বিতীয় – ফয়েজ মাহমুদ, তৃতীয়- হাসানাত আল আমিন, টাংগাইল। বিশেষ পুরস্কার- মাহমুদ রাব্বানী, খাদিজা বিনতে মুস্তাফিজ ও দেলোয়ার আল মাহমুদ।
এক শত শিল্পীর শতাধিক দৃষ্টিনন্দপোষ্টার প্রদশিত হয়। প্রচুর দর্শক ঘুরে ঘুরে বর্ণীল পোষ্টার উপভোগ করেন ।
-খবর বিজ্ঞপ্তির